কেন্দ্রীয় বাজেটে উপেক্ষিত বাংলা, ঢালাও বরাদ্দ অন্ধ্র-বিহারে
সিএএ-এর অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন পাকিস্তানের পেররা... গোয়া’য় প্রথম
হাত পা কেটে চার মাসের গর্ভবতীকে হত্যা! ডবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশে নারী নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
পুবের কলম,ওয়েব ডেস্কঃ রেখা শর্মার বিরুদ্ধে মহুয়ার মৈত্রের 'পাজামা' মন্তব্যে নয়া মোড়। অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়ে দিল্লি পুলিশকে নোটিশ জারি করল আদালত। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেখা শর্মাকে নিয়ে কৃষ্ণনগর সাংসদের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সূত্রপাত। মহুয়া মৈত্রের সেই মন্তব্যকে মর্দাযাহানিকর বলে অভিযোগ তুলে দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা হয়। তৃণমূল সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় শুক্রবার বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণ এই নির্দেশ জারি করেন। আগামী ৬ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ জুলাই উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পাদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান শাতাধিক মানুষ। যার মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। এরপরেই ৪ জুলাই মহিলা কমিশনের তরফ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রেখা শর্মা। তারই একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। সেই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন আগে আগে হাঁটছেন। অন্য এক ব্যক্তি রেখা দেবীর মাথায় ছাতা ধরে তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছেন। রেখা শর্মা নিজের ছাতা নিজে হাতে ধরেন নি, তা নিয়েই সমাজমাধ্যমে টিপ্পনি কাটেন মহুয়া মৈত্র। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, নিজের বসের পাজামা ধরতে ব্যস্ত জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাধে। এমন মন্তব্য একজন মহিলার মর্যাদার অমর্যাদা বলে মন্তব্য করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। দিল্লি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান তিনি। পাল্টা মহুয়া মৈত্র চ্যালেঞ্জ করেন দিল্লি পুলিশ পারলে তাঁকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করুক। তিনি মন্তব্য করেন, 'আমি আমার ছাতা নিজেই ধরতে পারি।' তারপরেই সাংসদের ওই মন্তব্য সাংবিধানিক পদের মর্যাদা হানি করেছে বলে অভিযোগ করে দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের হয়েছিল মহিলা কমিশনের তরফে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আইএফএসও-এর সাইবার ইউনিট এই এফআইআর করেছে।
এ দিন মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ হাইকোর্টে অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করা সত্ত্বেও, তাঁকে এফআইআরের কোনও প্রতিলিপি দেওয়া হয়নি। এরপরে, দিল্লি পুলিশের আইনজীবী এফআইআরের একটি প্রতিলিপি ইন্দিরাকে হস্তান্তর করেন। তাতে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় মহুয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।