গান্ধীনগর, ২২ জুলাই: চোখ রাঙাচ্ছে চাঁদিপুরা ভাইরাসের। চাঁদিপুরা সংক্রমণে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। ভাইরাসের কবলে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। গুজরাটে এক ধাক্কায় দ্বিগুণ বাড়ল চাঁদিপুরা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা। আরও বাড়ল সংক্রমিতের সংখ্যাও। গুজরাটের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে চাঁদিপুরা ভাইরাসে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র রবিবারেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮৪। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে আহমেদাবাদ, আরাবল্লি, সুরেন্দ্রনগর, নর্মদা, রাজকোট, ভদোদরা, গান্ধীনগরে চাঁদিপুরা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। মশাবাহিত এই রোগ সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে সতর্ক করতে শুরু করেছে প্রশাসন।
গতাকল গুজরাটে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। সংক্রামিত হয় আরও ৫০ জন। গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুশিকেশ প্যাটেল জানিয়েছিলেন, 'গোটা রাজ্যে চাঁদিপুরা ভাইরাসে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের উপসর্গ সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা গেছে। যার জন্য আরও বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। হিম্মতপুরে ১৪ জন চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত। যাদের মধ্যে সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রাজ্যের ১৫টি জেলায় এই ভাইরাসে সংক্রমিত ৫০ জন।'
কীভাবে টিকবে এই সরকার?, মোদি সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন মমতার
জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর প্রত্যাহার, ফের প্রকাশ ১৬ নাম
সম্বিতের পাপের লঙ্কার পতন ঘনিয়ে এসেছে: রাহুল
এই ভাইরাসের আক্রান্তদের জ্বর, এনসেফালাইটিস, খিঁচুনি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। গুজরাটে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া এবং এনসেফালাইটিসের উপসর্গ দেখা গেছে। ইতিমধ্যেই সাতজনের নমুনা সংগ্রহ করে পুনের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।