নয়াদিল্লি, ১৯ জুলাই: কিডনি চক্রের জাল ছড়িয়ে আছে পাঁচটি রাজ্যে, এমনই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। বাংলাদেশ থেকে দিল্লির মধ্যে কিডনি পাচার চক্রের কারবার চলত। বাংলাদেশি নাগরিকদের ভুলিয়ে এখানে নিয়ে এসে রাখা হত, তারপর চড়া দামে কিডনি গ্রহীতাদের কাছে বিক্রি করা হত। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার মধ্যে তিন জন বাংলাদেশি।
‘ডাক্তারদের কাজে ফিরতেই হবে’,জানাল সুপ্রিম কোর্ট
৩ দিনের সফরে আমেরিকায় রাহুল
অপ্রাপ্তবয়স্কের যৌন নির্যাতন হলে তাকে বারবার আদালতে ডাকা যাবে না : সুপ্রিম কোর্ট
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি-এনসিআর, পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতে এই কিডনি র্যাকেট চক্র ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে সেল ফোন, ল্যাপটপ, সিম কার্ড, নগদ টাকা সহ অপরাধমূলক নথি উদ্ধার করেছে। এই গ্যাংটি অত্যন্ত গরীব বাংলাদেশি নাগরিকদের ভুল বুঝিয়ে তাদের কিডনি অস্ত্রোপচার করে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করত। আবার অনেক সময় ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হত। তাদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেক সময় ফাঁদে ফেলা হত।
এই চক্রের মধ্যে আছে একজন মহিলা চিকিৎসক। ডা. বিজয়া কুমারী একজন শল্য চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি অবৈধ অস্ত্রোপচার করে নয়ডা হাসপাতালে। ডা. বিজয়া কুমারী প্রতিটি অস্ত্রোপচারে ২ লক্ষ টাকা করে নিতেন।
পুলিশ বাংলাদেশি নাগরিকদের একটি গ্রুপের সন্দেহজনক কার্যকলাপের সূত্র ধরে দিল্লির জসোলা বিহারে অভিযান চালানোর পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।