আসিফ রেজা আনসারী: রাজ্যে করোনায় অনেকেই মারা গিয়েছেন। সরকারি কর্মীরাও সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের পাশে থাকার কথা প্রথম থেকেই বলে আসছে রাজ্য সরকার। সরকারিভাবে নেওয়া হয়েছে নানান পদক্ষেপ। ডাক্তার– স্বাস্থ্যকর্মী– পুলিশকর্মীদের মতো সরকারি পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের পাশেও রয়েছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও কোভিড-বিধি মেনে বাস চলাচল ও পরিবহণকে ফলপ্রসু করতে উদ্যোগী হন। এদিকে যেসব কর্মী করোনার সময় মারা গিয়েছেন– তাঁদের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কাজ যাতে দ্রুত হয় সেই বিষয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে পরিবহণ দফতর।
এ নিয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক সিনিয়র অফিসার জানান– করোনার সময় পরিষেবা দিতে গিয়ে যেসব সরকারি পরিবহণকর্মী মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে কথাও বলেছে সরকার। তিনি আরও জানান– কাউকে চাকরি দিতে হলে তার কিছু সাধারণ নিয়ম রয়েছে। কিছু কাগজপত্র খতিয়ে দেখা– পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় থাকে– তাই সেকাজে কিছুটা সময় লাগছে। তবে দ্রুততার সঙ্গে এবং মানবিকভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিবহণ দফতের জয়েন্ট সেক্রেটারি আবদুর রাকিব সেখ জানান– পরিবহণ দফতের অধীনে কতকগুলি পরিবহণ নিগম রয়েছে– রয়েছে সরকারের পরিবহণ ডাইরেক্টরেট। এই সব বিভাগ মিলিয়ে দফতেরর যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের সকলের পরিবারকেই চাকরি দেওয়া হবে। আপাতত ১০-১৫জনের ফাইল তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়– সরকারি বিধি মেনেই আমরা নিয়োগের বন্দোবস্ত করছি।
পরিবহণ দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে– পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসাবে সিএনজি বাস চালানোর উপর জোর দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিক বাস চালু হয়েছে– সেই বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।