পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাতের অন্ধকারে কলকাতা শহর কতটা নিরাপদ সেই নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন ওঠে। তবে কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে আর পাঁচটা মেট্রো শহরের নিরিখ কলকাতা অনেক বেশি সুরক্ষিত। মহিলারাও অনেক বেশি নিরাপদ এই শহরে। রাতে কাজ শেষে ট্রেন, বাসে করেন ফেরেন মহিলারা। সেই সব কর্মরত মহিলাদের কথায়, তারা নিরাপদেই বাড়ি ফিরতে পারেন। এখন লকডাউনে গাড়ির সংখ্যা আগের থেকে কম হলেও সেইভাবে সমস্যা হয় না। তবে বিপদ যেকোনও সমস্যায় আসতে পারে। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরতে সেই ভাবে ভয় লাগে না। যেখানে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এমনকী রাজধানী দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে অপরাধ থেকে ধর্ষণের খবর প্রায়শই সংবাদের শিরোনামে প্রকাশ পায়, সেই তুলনায় কলকাতা অনেক নিরাপদ। অপরাধের নিরিখে দেশের অন্যান্য মেট্রো শহর গুলির মধ্যে ‘নিরাপদতম’ কলকাতা। কেন্দ্রীয় সংস্থার দেওয়া রিপোর্টেই এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত তিন বছরে নিয়মিত হারে অপরাধের সংখ্যা কমেছে বাংলার রাজধানীতে। মঙ্গলবার জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) গত এক বছরের অপরাধের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া, ২০২০’ শীর্ষক সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মোট অপরাধের সংখ্যা দেশের অন্যান্য মেট্রোশহরগুলির থেকে কলকাতায় অনেক কম।
২০১৮ সালে কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা ছিল ১৯,৬৮২। ২০১৯-এ সেই সংখ্যা কমে হয়েছিল ১৭,৩২৪। তার পর ২০২০ সালে শহরে মোট অপরাধের সংখ্যা আরও কমে হয়েছে ১৫,৫১৭। যেখানে মুম্বইয়ে গত এক বছরে অপরাধের সংখ্যা ৫০,১৫৮, দিল্লিতে ২,৪৫,৮৪৪। চেন্নাইয়ে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যা ৮৮,৩৮৮। গুজরাতের আমদাবাদে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যা ৬১,৩৯৫।
২০২০ সালে প্রত্যেক লক্ষ জনসংখ্যায় কলকাতায় মোট অপরাধের হার ১২৯.৫। যেখানে চেন্নাইয়ে অপরাধের হার ১৯৩৭.১, দিল্লিতে ১৬০৮.৬, আমদাবাদে ১৩০০, বেঙ্গালুরুতে ৪০১.৯ এবং মুম্বইয়ে ৩১৮.৬। কমেছে নথিভুক্ত অপরাদের সংখ্যা। গত এক বছরে কলকাতায় নারীঘটিত অপরাধের সংখ্যা ২,০০১। বেঙ্গালুরুতে সেই সংখ্যা ২,৭৩০। দেশের রাজধানী দিল্লিতে ৯,৭৮২। দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যা ৪,৫৮৩টি।