পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : গাজা-ইসরায়েল সংঘাত চরমে উঠেছে। এই অস্থির পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া দিলেন বলিউড অভিনেত্রী গওহর খান। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে গওহর খান বলেন, ‘কবে থেকে অত্যাচারী নিপীড়িত হল? এটি কি বিশ্বের সুবিধাজনক দৃষ্টিশক্তি!! এতদিন ইজরাইল, বছরের পর বছর ধরে যা করেছে বিশ্ব সেখানে অন্ধ হয়েছিল!’
শনিবার নিজের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইসরাইলের পাশে থাকার বার্তা দেন মোদি। ভারতের এই সমর্থনের পর সরব হন বলিউডের অভিনেত্রী গওহর খান।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দশকে ভারত-ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। এর পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র-মোদির রাজনৈতিক নীতি রয়েছে। ২০১৭ সালে ভারতীয় প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি ইসরাইল ভ্রমণ করেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিহাহুর সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ স্থাপন করেন। তবে বর্তমানে মোদি ইসরাইয়েলের পাশে দাঁড়ালেও এক সময় ফিলিস্তিনকেই সমর্থন করেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড জবরদখল, তাঁদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়ণ আর অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের আনুপাতিক হারে ফিলিস্তিনির সংখ্যা কমানোই মূল লক্ষ্য ইসরাইয়েলের। আমেরিকা ও ব্রিটিশের মদদেই ইসরাইলেই একতরফা আগ্রাসনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গাজা, পশ্চিম তীর তথা গোটা ফিলিস্তিন ভূমি। ইহুদিদের এই দখলবাজি চলছে দশকের পর দশক ধরে। শুধু ফিলিস্তিনিদের দিকে বন্দুক তাক করেই নেই ইসরায়েলি সেনারা, ফিলিস্তিনের পক্ষ হয়ে ‘কথা বলা’ যে কাউকে হত্যা করতেও তাঁরা দ্বিতীয়বার ভাবেন না। কর্তব্যরত অবস্থায় গত ১১ মে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে হত্যা করা হয় আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে। ফিলিস্তিনের তথ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৪৫ জন সাংবাদিকের প্রাণ গেছে। আর ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বেশি, ৫৫।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তদন্তে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ভূমি ও সম্পত্তি দখল, হত্যা, বেআইনিভাবে আটকে রেখে নির্যাতন, অবরোধ আরোপ, বাধ্যতামূলক স্থানান্তরের হাজারো মানবাধিকার হরণ ও হত্যার প্রমাণ উঠে এসেছে।