পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে আজ এই রায় দেওয়া হয়। প্রাথমিকের ভুল সংক্রান্ত মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যে জরিমানার টাকা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে তাঁর রোজগেরের টাকায়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ এই মামলা নিয়ে চাপান-উতোর চলহিল। আজ এই মামলার অর্ডার ঘোষণা হল। মামলাটি ১৭ নম্বর কোর্টের ১ নম্বর সিরিয়ালে ছিল। যাঁরা ভুল প্রশ্নগুলো উত্তর দিয়েছিলেন এবং পিটিশনার ছিলেন তাঁদের জন্য সুখবর।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার ঘটনায় মামলা ওঠে আদালতে। এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। যাঁরা ওই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার কথা ছিল। এখনও পর্যন্ত সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। সেই কারণে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। সেই কারণে মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা করা হচ্ছে। জরিমানা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যের নিজস্ব রোজগারের টাকায়। ১৯ জন মামলাকারীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে তাঁকে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের দিকে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশে জানান, ওই প্রশ্নগুলির সম্ভাব্য উত্তরগুলি হয় ভুল ছিল, না হলে প্রশ্নেই গলদ ছিল। তাই ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেই ফুল মার্কস দেবে প্রাথমিক বোর্ড। মার্কস দেওয়ার পর ক্যাটাগরি অনুযায়ী টেট উত্তীর্ণ হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতামান পার হলেই পরীক্ষার্থীদের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে।
২০১৮, ২০১৯,২০২০ তিনবছর অনেক আইনি লড়াই পর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ মেনে নেয় প্রাথমিক বোর্ড। ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিক বোর্ড অনেককেই নিয়োগ করে। তখনই শুরু হয় বিতর্ক। মামলাকারীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রশ্নের উত্তর দিলেও ফুল মার্কস দেয়নি বোর্ড। এই নিয়ে দীর্ঘ টালাবাহানার পর আজ এই মামলার রায় ঘোষণা হল।