৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘নয়া অধ্যায়  লিখছে চন্দ্রযান-৩,’ ফ্রান্স থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার
  • / 19

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  আজ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারত।  দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হল ভারতের বহু প্রতীক্ষিত চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩  এর ল্যান্ডারের নাম ‘বিক্রম।’ চন্দ্রযান-৩ রোভারের নাম প্রজ্ঞান। নামবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। গতবারের চেয়েও কম খরছে তৈরি হয়েছে এই চন্দ্রযান-৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই প্রথম জলের খোঁজ পেয়েছিল ইসরো। আগামী ২৩ আগস্ট চাঁদে নামবে চন্দ্রযান-৩।

ইসরো ডিরেক্টর এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ‘১৪ জুলাই দুপুর ২.৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে ২৩ আগস্ট এটি চাঁদে অবতরণ করবে। তারিখের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যখন চাঁদে সূর্যোদয় হয়। তবে যদি কোনও কারণে বিলম্বিত হয় তবে আমাদের সেপ্টেম্বরে পরবর্তী মাসের অবতরণের দিন ঠিক করে রাখতে হবে’।

দেশের মাহাকাশ গবেষণা ঘিরে যখন এই বড় ঘটনা ঘটছে,  তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বিশেষ আমন্ত্রণে রয়েছেন ফ্রান্সে। সেখান থেকেই এদিন আসে ‘চন্দ্রযান ৩’  ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে লেখেন, ‘ভারতের মহাকাশ মহাসফরের মধ্যে একটি নয়া অধ্যায় লিখছে চন্দ্রযান-৩। এটি প্রত্যেক ভারতীয়ের স্বপ্ন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে উচ্চ করে তুলেছে।’ এরই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলস নিষ্ঠার প্রমাণ। আমি তাঁদের চেতনা এবং উদ্যমকে কুর্নিশ জানাই!’

২০১৯ সালে যখন ‘চন্দ্রযান ২’ মহাকাশের পথে রওনা হয়,  তখন দেশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার তিনি নিজে বেঙ্গালুরুতে ইসরো হেডকোয়ার্টারে উপস্থিত ছিলেন। গোটা দেশের নজর ছিল ইসরোর বার্তার দিকে। প্রধানমন্ত্রীও ইসরোর দফতর থেকে প্রত্যক্ষ করছিলেন চন্দ্রযান ২ এর পরিস্থিতি। তখনই এসেছিল সেই বার্তা । জানা গিয়েছিল, চন্দ্রযান -২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২৩ সালে চাঁদের দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ভারত প্রথম চন্দ্রযান ১ পাঠায় চাঁদে৷ এবার চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ এর সফল ল্যান্ডিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানী ঋতু করিধাল। লখনউ থেকেই ফিজিক্সে এমএসসি করেছেন তিনি। এরপর বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান সায়েন্স ইনস্টিটিউটে কাজ করেন তিনি। যেখানে তিনি মহাকাশ বিজ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করেন। ২০০৭ সালে ইয়ং সায়েনটিস্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। একাধিক মহাকাশ মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বিজ্ঞানী ঋতু করিধাল। আর এজন্যে তাঁকে রকেট ওয়েম্যান বলা হয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘নয়া অধ্যায়  লিখছে চন্দ্রযান-৩,’ ফ্রান্স থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  আজ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারত।  দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হল ভারতের বহু প্রতীক্ষিত চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩  এর ল্যান্ডারের নাম ‘বিক্রম।’ চন্দ্রযান-৩ রোভারের নাম প্রজ্ঞান। নামবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। গতবারের চেয়েও কম খরছে তৈরি হয়েছে এই চন্দ্রযান-৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই প্রথম জলের খোঁজ পেয়েছিল ইসরো। আগামী ২৩ আগস্ট চাঁদে নামবে চন্দ্রযান-৩।

ইসরো ডিরেক্টর এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ‘১৪ জুলাই দুপুর ২.৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে ২৩ আগস্ট এটি চাঁদে অবতরণ করবে। তারিখের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যখন চাঁদে সূর্যোদয় হয়। তবে যদি কোনও কারণে বিলম্বিত হয় তবে আমাদের সেপ্টেম্বরে পরবর্তী মাসের অবতরণের দিন ঠিক করে রাখতে হবে’।

দেশের মাহাকাশ গবেষণা ঘিরে যখন এই বড় ঘটনা ঘটছে,  তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বিশেষ আমন্ত্রণে রয়েছেন ফ্রান্সে। সেখান থেকেই এদিন আসে ‘চন্দ্রযান ৩’  ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে লেখেন, ‘ভারতের মহাকাশ মহাসফরের মধ্যে একটি নয়া অধ্যায় লিখছে চন্দ্রযান-৩। এটি প্রত্যেক ভারতীয়ের স্বপ্ন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে উচ্চ করে তুলেছে।’ এরই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলস নিষ্ঠার প্রমাণ। আমি তাঁদের চেতনা এবং উদ্যমকে কুর্নিশ জানাই!’

২০১৯ সালে যখন ‘চন্দ্রযান ২’ মহাকাশের পথে রওনা হয়,  তখন দেশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার তিনি নিজে বেঙ্গালুরুতে ইসরো হেডকোয়ার্টারে উপস্থিত ছিলেন। গোটা দেশের নজর ছিল ইসরোর বার্তার দিকে। প্রধানমন্ত্রীও ইসরোর দফতর থেকে প্রত্যক্ষ করছিলেন চন্দ্রযান ২ এর পরিস্থিতি। তখনই এসেছিল সেই বার্তা । জানা গিয়েছিল, চন্দ্রযান -২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২৩ সালে চাঁদের দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ভারত প্রথম চন্দ্রযান ১ পাঠায় চাঁদে৷ এবার চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ এর সফল ল্যান্ডিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানী ঋতু করিধাল। লখনউ থেকেই ফিজিক্সে এমএসসি করেছেন তিনি। এরপর বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান সায়েন্স ইনস্টিটিউটে কাজ করেন তিনি। যেখানে তিনি মহাকাশ বিজ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করেন। ২০০৭ সালে ইয়ং সায়েনটিস্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। একাধিক মহাকাশ মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বিজ্ঞানী ঋতু করিধাল। আর এজন্যে তাঁকে রকেট ওয়েম্যান বলা হয়।