৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোচবিহারে পঞ্চায়েত ভোটের  প্রথম প্রচার থেকে আক্রমণাত্মক মমতা, বিএসএফ নিয়ে বিজেপি নিশানা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২৩, সোমবার
  • / 7

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। কয়েকদিন আগেই পটনায় নীতিশ কুমারের ডাকে তার বাসভবনে বিজেপিকে সমূলে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সহ মোট ১৫টি দল একই সুরে সেই মতেই সম্মতি দিয়েছে। আর আজ থেকে পঞ্চায়েত ভোট প্রচারে নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার থেকেই সেই প্রচার শুরু করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রচার ঘিরে জনজোয়ারের পাশাপাশি ছিল কড়া নিরাপত্তা।

প্রচারের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখা যায় মমতাকে। রবিবার বিকালে কোচবিহারে পা রাখেন তিনি। সোমবার সকাল ১১টা থেকে কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চান্দামারি প্রাণনাথ হাই স্কুল মাঠে মমতার সভার আয়োজন করে জেলা তৃণমূল। এ বি এন শীল কলেজ মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে আসেন চান্দামারির সভামঞ্চে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এটাই মমতার প্রথম জনসভা। এদিকে এই কোচবিহার  জেলাতেই বিএসএফের বিরুদ্ধে পাচারকারী সন্দেহে লাগাতার সাধারণ মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এদিন সভামঞ্চে উঠেই বিএসফের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে শুরু করেন মমতা। ডেকে নেন স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের। নাম করে তিনি ‘ওহে নন্দলাল’  বলেও সরব হন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কোচবিহারে গুলি করা মারাটা  যেন একটা অধিকারের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। এরা নাকি করবে দেশ শাসন। ভয় দেখালে অভিযোগ জানাবেন। ভয়ে ঘরে বসে থাকবেন না। মনে রাখবেন যে শহিদ পরিবার আজকে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছে তার বদলা নিতে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। মমতা বলেন, আমি

সবাইকে খারাপ বলি না। কিন্তু, আমি নিশ্চয় প্রশাসনকে বলব নজর রাখতে। ১৫ কিলোমিটার যেটা ছিল সেটা গায়ের  জোরে একতরফাভাবে ৫০ কিলোমিটার করেছে। আমার কাছে খবর আছে নির্বাচনের সময় বর্ডারে বর্ডারে গিয়ে আপনাদের তাঁরা ভয় দেখাবে। বলবে তুলে নেব। সিবিআই লাগাব, ইডি লাগাব। আমি বলি কিছু করতে পারবে না। আইনত আইন-শৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের আওতায় পড়ে। কেন্দ্র সরকারের আওতায় পড়ে না।” মমতা বলেন, এখন নির্বাচন চলছে তাই আমি মঞ্চে সব বলতে পারছি না। কিন্তু, মনে রাখবেন মানুষ বিপদে পড়লে আমরা সবটাই তাঁর জন্য করি। মানুষ জানে তাঁদের ছেলেমেয়েরা বিপদে পড়লে তাঁদের রক্ষা করার দায় আমাদের। আমি চেষ্টা করি মানুষ বিপদে পড়লে তার পাশে থাকার।

উত্তরবঙ্গ থেকেই নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝড় তুলতে হাজির থাকছেন দলনেত্রী স্বয়ং।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কোচবিহারে পঞ্চায়েত ভোটের  প্রথম প্রচার থেকে আক্রমণাত্মক মমতা, বিএসএফ নিয়ে বিজেপি নিশানা

আপডেট : ২৬ জুন ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। কয়েকদিন আগেই পটনায় নীতিশ কুমারের ডাকে তার বাসভবনে বিজেপিকে সমূলে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সহ মোট ১৫টি দল একই সুরে সেই মতেই সম্মতি দিয়েছে। আর আজ থেকে পঞ্চায়েত ভোট প্রচারে নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার থেকেই সেই প্রচার শুরু করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রচার ঘিরে জনজোয়ারের পাশাপাশি ছিল কড়া নিরাপত্তা।

প্রচারের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখা যায় মমতাকে। রবিবার বিকালে কোচবিহারে পা রাখেন তিনি। সোমবার সকাল ১১টা থেকে কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চান্দামারি প্রাণনাথ হাই স্কুল মাঠে মমতার সভার আয়োজন করে জেলা তৃণমূল। এ বি এন শীল কলেজ মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে আসেন চান্দামারির সভামঞ্চে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এটাই মমতার প্রথম জনসভা। এদিকে এই কোচবিহার  জেলাতেই বিএসএফের বিরুদ্ধে পাচারকারী সন্দেহে লাগাতার সাধারণ মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এদিন সভামঞ্চে উঠেই বিএসফের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে শুরু করেন মমতা। ডেকে নেন স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের। নাম করে তিনি ‘ওহে নন্দলাল’  বলেও সরব হন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কোচবিহারে গুলি করা মারাটা  যেন একটা অধিকারের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। এরা নাকি করবে দেশ শাসন। ভয় দেখালে অভিযোগ জানাবেন। ভয়ে ঘরে বসে থাকবেন না। মনে রাখবেন যে শহিদ পরিবার আজকে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছে তার বদলা নিতে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। মমতা বলেন, আমি

সবাইকে খারাপ বলি না। কিন্তু, আমি নিশ্চয় প্রশাসনকে বলব নজর রাখতে। ১৫ কিলোমিটার যেটা ছিল সেটা গায়ের  জোরে একতরফাভাবে ৫০ কিলোমিটার করেছে। আমার কাছে খবর আছে নির্বাচনের সময় বর্ডারে বর্ডারে গিয়ে আপনাদের তাঁরা ভয় দেখাবে। বলবে তুলে নেব। সিবিআই লাগাব, ইডি লাগাব। আমি বলি কিছু করতে পারবে না। আইনত আইন-শৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের আওতায় পড়ে। কেন্দ্র সরকারের আওতায় পড়ে না।” মমতা বলেন, এখন নির্বাচন চলছে তাই আমি মঞ্চে সব বলতে পারছি না। কিন্তু, মনে রাখবেন মানুষ বিপদে পড়লে আমরা সবটাই তাঁর জন্য করি। মানুষ জানে তাঁদের ছেলেমেয়েরা বিপদে পড়লে তাঁদের রক্ষা করার দায় আমাদের। আমি চেষ্টা করি মানুষ বিপদে পড়লে তার পাশে থাকার।

উত্তরবঙ্গ থেকেই নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝড় তুলতে হাজির থাকছেন দলনেত্রী স্বয়ং।