পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শিক্ষিকাদের বিষ খাওয়ার ঘটনা বিজেপির চক্রান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উল্লেখ্য, বদলি রুখতে বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি বিকাশ ভবনের সামনে প্রকাশ্যে অরগানোফসফরাস জাতীয় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষিকা। তাঁদের মধ্যে দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান শিক্ষামন্ত্রী। বুধবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য রাজ্য সরকার কী কী উদ্যোগ নিয়েছে তার কিছু খতিয়ান তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ দিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন– শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এত দাবি পূরণের পরও যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা শিক্ষক-শিক্ষিকা নন– বিজেপির ক্যাডার। এ দিনে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন– বিগত সরকারের আমলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে এসএসকে– এমএসকে সহায়ক– সহায়িকা– সম্প্রসারক– সম্প্রসারিকারা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা– আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা ছিল না। মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই শিক্ষকরা ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষা দফতরের অধীনে আনা হয়। সহায়ক সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০ হাজার ৩৪০ টাকা করা হয়। সম্প্রসারক– সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৩৯০ টাকা। পাশাপাশি বছরে তিন শতাংশ সাম্মানিক বৃদ্ধি চালু হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকাকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ৬০ বছর বয়সে অবসর নিলে এককালীন ৩ লক্ষ টাকা অবসরভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহিলাদের জন্য মাতৃকালীন ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেককে ১৮টি ক্যাজুয়াল লিভ দেওয়া হয়েছে। এর পরেও কী করে তাঁরা আন্দোলন করেন। শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেন– বিকাশভবনের সামনে শিক্ষিকাদের আত্মহত্যার চেষ্টা সারাবাংলাকে লজ্জিত ও কলঙ্কিত করেছে। মু্খ্যমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি হস্তক্ষেপের দাবি করছি।
এ দিকে বিকাশ ভবনের সামনে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ শিক্ষিকার নামে একাধিক জামিন-অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।