কলকাতাTuesday, 24 August 2021
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তৃতীয় ঢেউ রুখতে রাজ্যে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন, বাড়ানো হল শিশুদের শয্যার সংখ্যা

mtik
August 24, 2021 7:09 pm
Link Copied!

পুবের কলম প্রতিবেদক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কালোমেঘ না কাটতেই ঘনিয়ে এসেছে থার্ড ওয়েভ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা পড়া রিপোর্ট বলছে সেপ্টেম্বরের শেষ বা অক্টোবরের শুরুতেই ভারতে আছড়ে পড়বে তৃতীয় ঢেউ। রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে দেশের একাধিক রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে গোটা দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যগুলির সরকার। বাংলাও পিছিয়ে নেয়। নির্দেশ মতো এরাজ্যেও করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। গত কয়েকদিন আগেই নবান্ন থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি শিশুদের ভর্তি রাখার জন্য সুব্যবস্থার বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছিল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বলছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলি শিশুদের সংক্রমণের বিষয় মাথায় রেখে অগ্রিম প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগে থেকেই হাসপাতালে শিশুদের জন্য শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ডাক্তার থেকে নার্স, পর্যাপ্ত ওষুধ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সর্বস্তরে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৫৫০টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট(সিসিউ), ৫২৮ টি পিআইসিইউ ও ২৭০টি নিউনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট শয্যা তৈরি করা হয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমণের বিষয়টির উপর নজর দিয়ে হাসপাতালে যাতে শয্যার অভাব না দেখা দেয়, সেইকারণেই এই পরিমাণে শয্যা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে আর কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেবিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের প্রবীণ চিকিৎসকরা।
এছাড়াও রাজ্যের প্রান্তিক গ্রামাঞ্চলে করোনার তৃতীয় ওয়েব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশাকর্মীদের খোঁজ খবর নেওয়ার কাজে লাগানো হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে কারোর যদি সামান্য জ্বর বা অন্য কোনও শরীর খারাপ হয়, সেক্ষেত্রে অবিলম্বে স্থানীয় আশাকর্মীদের জানাতে হবে।