পুবের কলম প্রতিবেদক: নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেল রাজ্য। শুক্রবার এই মামলার শুনানি শেষে মামলাটি হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চেই ফিরিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা কলকাতা হাইকোর্টকে গ্রহণ করতেই হবে। সিবিআইয়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে নিজেদের বক্তব্য রাখতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে হলফনামা দিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। কিন্তু সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। এর পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার। তবে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিলেও দেশের শীর্ষ আদালত হলফনামা জমা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী স্বস্তি পেলেন বলাই যায়। কলকাতা হাইকোর্টে আগামী ২৯ জুন এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তা রেকর্ডও করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত– নারদ মামলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে যুক্ত করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপের পর নিজেদের বক্তব্য রাখতে চেয়ে হলফনামা কলকাতা হাইকোর্ট কে হলফনামা চেয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটক। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে সিবিআই এর যুক্ত করা এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হলফনামা দিতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটক। এরপরে নিজেদের বক্তব্য জানাতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টে প্রথমে মামলাটি ওঠে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে । কিন্তু– বিচারপতি বসু শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় বিচারপতি বিনীত সরন ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চে মামলা যায়। ততদিন পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি স্থগিত রাখা হয়। জয়ের অভিযোগ ছিল যে চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতারের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর এর বাইরে ধরনায় বসে ছিলেন। এর পাশাপাশি সিবিআই দফতর এর বাইরে বিক্ষোভ হোয়। সেই বিক্ষোভের মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর মদদ ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। এর পরেই নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে মামলা অন্যত্র সরানোর আর্জি জানায় সিবিআই।
সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান– নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারের দিন তিনি সিবিআই দফতরে এ গিয়েছিলেন ঠিকই তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেখানে যাননি সেখানে তাদের পরিচিতি হিসেবেই তিনি গিয়েছিলেন। তাছাড়া তিনি ধরনায় বসেননি বলেও জানান।
এদিন মামলাটি হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রী কে পুনরায় আবেদন করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি হচ্ছিল সেই বেঞ্চেই পুনরায় মামলার শুনানি হবে।