পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মুখ খুললেন টেক-জায়ান্ট মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তিনি বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কার্যক্রম গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। এক ব্লগ পোস্টে এই প্রযুক্তিকে মাইক্রোপ্রসেসর, ব্যক্তিগত কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন তৈরির মতো মৌলিক উদ্ভাবন হিসেবে আখ্যা দেন গেটস। তিনি বলেন, এটা মানুষের কাজ, শেখা, যাতায়াত, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ ও একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের ধরন বদলে দেবে। চ্যাটজিপিটি’র চ্যাটবটের মতো টুলে ব্যবহৃত প্রযুক্তি সম্পর্কেও লেখেন তিনি।
ওপেনএআই’র তৈরি এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি এমনভাবে প্রোগ্রাম করা যেন এটি প্রাকৃতিক, মানুষের মতো ভাষা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে পারে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এই প্রযুক্তি তৈরি করা দলটি কয়েকশো কোটি ডলারের বিনিয়োগ মাইক্রোসফটের কাছ থেকে পেয়েছে।
মাইক্রোসফটে এখনও উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গেটস। তবে এটিই একমাত্র এআই-চালিত চ্যাটবট নয়। সম্প্রতি চ্যাটজিপিটি’র প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যাটবট ‘বার্ড’ এনেছে গুগল। বিভিন্ন দেশের সরকারকে এআই’র ‘ঝুঁকির মাত্রা সীমিত করার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট শিল্পের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে’র সহ-প্রধান গেটস।
তার মতে, দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এআই-চালিত অগ্রগতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে, যেখানে পাঁচ বছরের কম বয়সে বেশিরভাগ শিশু মারা যায়। ওইসব দেশের অনেক মানুষই কখনও ডাক্তার দেখাতে যান না। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাদের স্বাস্থকর্মীদের তুলনামূলক কার্যকর হতে সহায়তা দেবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর উপর আলোকপাত করতে যেমন বিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল লোকদের প্রয়োজন পড়ে, তেমনই আমাদের বিশ্বের সেরা এআইগুলোরও সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে।