পুবের কলম প্রতিবেদক: দেশভাগ ও স্বাধীনতার প্রায় ৭৫ বছর পার করেছে দেশ। এক সময় বাংলাকে ভাগ করেছিল ইংরেজরা। তার বিরুদ্ধে প্রবল জনআন্দোলন গড়ে ওঠে। বঙ্গভঙ্গ রোধ করতে মাঠে নেমেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবিবার রাখীবন্ধন উৎসব পালনের সময় ফের ফিরে এল বঙ্গভঙ্গ ও দেশভাগের প্রসঙ্গ। সম্প্রতি বিজেপি নেতাদের মন্তব্য ও তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া নিয়েই এর অবতারণা। যা নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য-প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বিজেপিকে বহিরাগত বলে যেমন তোপ দাগেন– তেমনি বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন ফিরহাদ হাকিম।
এদিন চেতলা রাখী সংঘের এক অনুষ্ঠানে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। তারপর কচি-কাঁচারা মন্ত্রীর হাতে রাখি পরান। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফিরহাদ হাকিম। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। আমরা বাংলাতে সব জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এক সঙ্গে থাকব। কিন্তু এখন যে দলটা এসেছে তারা বাইরে থেকে এসেছে, এরা বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি জানে না।
ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থেই দেশভাগ হয়েছিল। আমরা চাই না ভারতবর্ষ আবার ভাগ হোক। আমরা সবাই ভাই-বোন। ভারতবর্ষে একসঙ্গে থাকতে চাই। বাংলা থেকে যেহেতু কিছু পায়নি বিজেপি– তাই বাংলাকে ভাগ করার প্রচেষ্টা করছে। যাতে উত্তরবঙ্গের মতো আলাদা চিফ মিনিস্টার করতে পারে। কিন্তু এটা হবে না। বাংলা এক থাকবে।
ফিরহাদ হাকিমের কথায়, বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক সময় লড়েছিলেন। তিনি গেয়েছিলেন বাংলার সব মানুষ– ভাই-বোন এক হোক। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা লড়ছি।
উল্লেখ্য– গত শনিবার বাংলা ভাগ নিয়ে মন্তব্য করেন উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি নেতা। কার্যত তাকেই সমর্থন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও বিজেপির অন্দরে এনিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। বিজেপির কাজকর্ম নিয়েই এদিন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ফিরহাদ হাকিম।