পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হোলির পরের দিনই সব শেষ। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রয়াত হলেন বলিউডের বিশিষ্ট পরিচালক-অভিনেতা সতীশ কৌশিকের। অকস্মাৎ এই খবরে শোকস্তব্ধ বলিউড। প্রথম এই খবর জানান, সতীশ কৌশিকের সবচেয়ে কাছের বন্ধু অনুপম খের।
সতীশের মৃত্যুতে অনুপম ট্যুইট করেছেন, ‘জানি এই পৃথিবীর শেষ সত্যি হল মৃত্যু। কিন্তু কখনও ভাবিনি প্রিয় বন্ধুর এই খবর আমাকেই দিতে হবে। গত ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে আচমকাই ফুলস্টপ পড়ে গেল। সতীশ তোমাকে ছাড়া জীবন আর সেরকম থাকবে না। ট্যুইট করে শোকজ্ঞাপন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
হোলির দিনেই জাভেদ আখতার এবং তাঁর স্ত্রী শাবনা আজমির মুম্বইয়ের বাড়ির হোলি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার এক দিন পরেই আকস্মিক দুঃসংবাদ। তিনি গুরুগ্রামে কারোর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। গাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই, গাড়িতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে গুরুগ্রামের একটি নামী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ ময়নাতদন্তের পর তাঁর মরদেহ মুম্বইয়ে আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মৃত্যুকালে সতীশ কৌশিকের বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। হরিয়ানায় জন্ম হয়েছিল সতীশের। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার ছাত্র সতীশ ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেন মাসুম ছবি দিয়ে। কয়েক বছর পরই মিস্টার ইন্ডিয়া-য় তাঁর চরিত্র ক্যালেন্ডার দর্শকদের চমকে দেয়। আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে বহু ছবিকে কমেডিয়ানের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কৌশিককে। রাম লক্ষ্ণণ, দিওয়ানা মস্তানা, সাজন চলে শ্বশুরাল-এর মত ছবিতে এখনও মানুষ তাঁকে মনে রেখেছে।
জানে ভি ইয়ারো-র লেখক সতীশকে ক্যামেরার পেছনে প্রথমবার দেখা যায় ১৯৯৩ সালে রূপ কি রানী চোরো কি রাজা ছবিতে। পরে আরও একটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন-প্রেম। দুটি ছবিই বক্স অফিসে ভালো সাড়া ফেলতে না পারলেও সতীশের পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম সাফল্য আসে হাম আপ কে দিল মে রহতে হ্যায়(১৯৯৯) ও তেরে নাম(২০০৩) ছবিত থেকে। রাম লক্ষ্ণণ ও সাজন চলে শ্বশুরাল ছবির জন্য ২ বার বেস্ট কমেডিয়ান ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান সতীশ। কঙ্গনা রানাউতের ইমার্জেন্সি ছবিতে জগজীবন রাম-এর চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই অকস্মাৎ ইন্দ্রপতন।