জম্মু-কাশ্মীরের বেশিরভাগ জায়গায় পারদ হিমাঙ্কের নীচে

- আপডেট : ১০ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 12
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ জম্মু- কাশ্মীরের বেশিরভাগ জায়গায় হিমাঙ্কের অনেক নীচে নেমে গেছে তাপমাত্রার পারদ । এমনকি এই সপ্তাহের শেষের দিকে আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্জা উপত্যকায় আঘাত হানবে বলে মঙ্গলবার আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সোমবার রাতে শ্রীনগরে সর্বনিম্ন ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের রাত থেকে ০.৯ ডিগ্রি বেশি ছিল।
উপত্যকার প্রবেশদ্বার কাজিগুন্ডে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। এছাড়া দক্ষিণ কাশ্মীরের কোকেরনাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৩.৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী জেলা কুপয়ারায় পারদ হিমাঙ্কের উপরে রয়েছে, যেখানে সর্বনিম্ন ২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা।
অনন্তনাগ জেলার পহেলগামে সর্বনিম্ন মাইনাস ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে উচু অঞ্চলে অনেক জায়গায় মাঝারি তুষারপাতের খুব সম্ভাবনা রয়েছে। উপত্যকার সমভূমিতেও হালকা থেকে মাঝারি তুষারপাত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একটানা ৪০ দিন ধরে কাশ্মীরে শৈত্যপ্রবাহ চললে এবং তাপমাত্রা ক্রমে আরও হ্রাস পেলে সেই অবস্থাকে ভূস্বর্গে বলা হয় ‘চিল্লা-ই-কালান’ ৷ অর্থাৎ সেটাই সেখানকার সবচেয়ে শীতল মরশুম৷
এই সময়ের মধ্যে তুষারপাতের সর্বাধিক সম্ভাবনা থাকে এবং বেশিরভাগ এলাকায়, বিশেষ করে উচ্চতর অঞ্চলগুলিতে ভারী তুষারপাতের সাক্ষী থাকে জম্মু ও কাশ্মীর ৷ ‘চিল্লা-ই-কালান’ শেষ হয় ৩০ জানুয়ারি ৷ তবে তারপরেও কাশ্মীরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকে ৷ পরের প্রায় ২০ দিন কাশ্মীরে চলে চিল্লা-ই-খুর্দ (ছোট শীত) এবং তারপরের ১০ দিন থাকে চিল্লা-ই-বাচ্চা (শিশু শীত)৷