‘একটা ধানে পোকা হলে সমূলে বিনাশ করতে হয়,’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে কড়াবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

- আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
- / 11
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একটা ধানে পোকা হলে তাকে সমূলে বিনাশ করতে হয়। প্রথমে সেই পোকাকে সতর্ক করতে হবে, সময় দিতে হবে। আর সংশোধন না হলে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। সময় থাকতে পোকাকে নির্মূল করতে না পারলে পোকা ধানকে গোটাই নষ্ট করে দিতে হবে। সোমবার নজরুল মঞ্চ থেকেই দুর্নীতি ইস্যুতে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, সৎ পথে চলুন। আগামীদিনে কি হবে সেটা ভেবে কাজ করার দরকার নেই। মানুষের জন্য কাজ করুন। জনগণ আপনার কাজের প্রশংসা করবে। আপনি মনে রাখবেন আপনি একজন দায়িত্বপূর্ণ নেতা, কর্মী ও পাহারাদার।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে একের পর পর কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, আমাকে চুরি করতে হবে কেন? ছবি প্রদর্শনী করেই কোটি কোটি টাকা তুলতে পারি। আমি কোনও সরকারি ভাতা নিই না।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে বলেন, বিজেপির মতো চালাকি করে রাজনীতি করে না তৃণমূল। যেই নির্বাচন এল ওমনি গ্যাসের দাম কমিয়ে দেওয়া হল, আর নির্বাচন চলে যেতেই গ্যাসের দাম বেড়ে গেল। তৃণমূল দায়বদ্ধতা থেকে রাজনীতি করি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বহুদিন সহ্য করার পর কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল করি। কোনওদিন বিজেপি করি না। কারণ বিজেপির মতাদর্শে বিশ্বাসী নই। বিজেপি ধর্মের নামে রাজনীতি করে। বিজেপি মতাদর্শ হল, আমি খাব আর অন্য কেই খাবে না। বিজেপি ঐতিহ্য, ইতিহাস, ভূগোল, শিক্ষা-সংস্কৃতি সব ভুলিয়ে দিচ্ছে। এখন রাম-বাম সব এখন এক হয়ে গেছে। বিজেপি হল কংগ্রেসের বি টিম, আর সিপিএম এর সি টিম। আমি মনে করি তৃণমূল কংগ্রেস একটি পরিবার। পুজো, ঈদ, ক্রিসমাসে সবেতেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারকে আপনার পাশে পাবেন।
রাজ্যের মানুষের উন্নতিকল্পে একাধিক খতিয়ান তুলে ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে হার্ট অপারেশন সহ ‘স্নেহের ছায়া’, ‘কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক’ গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছর ১১ লক্ষ করে স্মার্ট ফোন দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলকে জানতে হলে দলের ইতিহাস জানতে হবে। পুরনো নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে দলের ইতিহাস, আন্দোলন, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা জানতে হবে নতুনদের।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যতদিন সুস্থ থাকবেন ওটাই আপনার বয়স। বয়স্কদের দেখব না, সেটা বললে হবে না। বয়স্কদের প্রকৃত সম্মান দিয়ে কাজ করতে হবে। সমাজকে সুস্থ রাখতে হলে, আগে আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে।