আবাস যোজনার ঘর সার্ভে করতে গিয়ে মানসিক চাপ, আত্মঘাতী আই সি ডি এস কর্মী

- আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
- / 11
পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার শাঁড়াপুল নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের শাঁড়াপুল বিশ্বাস পাড়ার ঘটনা। মৃতা বছর ৩৯ এর এর রেবা বিশ্বাস রায়।তার স্বামী কুড়ি বছর আগে মারা যান। কয়েক বছর ধরে বাপের বাড়িতে থাকতেন ওই আইসিডিএস কর্মী। রাজ্য আবাস যোজনার ঘর সার্ভে করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে আশা কর্মীদের। গত দুদিন আগে আবাস যোজনার ঘর সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গ্রামে গেলে একদিকে গ্রামবাসীদের গালিগালাজ, মানসিক চাপ, অন্যদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপবেশ কয়েকদিন ধরে। এমনকি নিজের বোন অঞ্জলি মন্ডল ও দাদা গোপাল বিশ্বাস কে বিস্তারিত জানায়। তারপর তারা তারা দিদিকে বলে তুই দরকার হলে বিডিওর কাছে গিয়ে চাকরি থেকে রিজাইন দিয়ে আয়। রবিবার দুপুর বেলা রেবা দেবী জানান আমি আর সহ্য করতে পারছি না আমি সুইসাইড করব। সোোমবার সকাল বেলা বাড়ির পেছন থেকে কাঁঠাল গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদে উদ্ধার করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শাঁড়াপুল নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান অরুণ বিশ্বাস বলেন আমাকেও বেশ কয়েকদিন ধরে এই কথা জানিয়েছে। আমি পুরো বিষয়টা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা বলেছিলাম। চাপের কাছে নতি শিকার হয়ে কেনইবা এই আত্মহত্যা করল বুঝতে পারছি না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানছে মৃত রেবা দেবীর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্ত শুরু করেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ ও বিডিও। স্থানীয় বিধায়ক বীনা মন্ডল বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এর পিছনে যদি কারো দায় থাকে, নিশ্চয়ই পুলিশ, প্রশাসন ও আইন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
এই ঘটনায় সোমবার বিকেলে কয়েকশো আশা ও আইসিডিএস কর্মী এই কাজ থেকে অব্্যহতি চেয়ে স্বরূপনগরের বিডিও কৃষ্ণ গোপাল ধারাকে স্মারকলিপি জমা দেন। আশা কর্মীরা জানান , পূর্ণ প্রশাসনিক নিরাপত্তা ছাড়া এই কাজ করা কার্যত অসম্ভব। আমরা একদিকে গ্রামবাসী অন্যদিকে প্রশাসন এই দুইয়ের চাপে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছি।যেখানে ঘর সার্ভে করতে যাচ্ছি সেখানেই বিভিন্নভাবে আমাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় বিডিও কৃষ্ণ গোপাল ধারা, এই ঘটনা দুঃখজনক। ওনাকে কোন চাপ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সবাইকেই কাজ করতে হচ্ছে, আমাদেরকেও করতে হচ্ছে।