৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মমতাকে আমন্ত্রণ অমিত শাহর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২২, রবিবার
  • / 7

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এমনিতে কেন্দ্র-রাজ্য অহিনকুল সম্পর্ক। কথায় কথায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনা যায় রাজ্যকে বঞ্চনার। বহু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বৈঠকে যোগ দেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কি দেবেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন! কোন বৈঠক, কেন বৈঠক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযকে এর মধ্যে আনছি কেন এসব প্রশ্ন মনের মধ্যে জাগতেই পারে। তাহলে একটু খোলসা করেই বলা যাক। সমস্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে আগামী ২৭ এবং ২৮ অক্টোবর চিন্তন শিবির বসছে হরিয়ানায়। হরিয়ানার ফরিদাবাদ সুরজকুণ্ডে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এই বৈঠকে আদৌ কি যোগ দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? নাকি শাহের বিরুদ্ধে সংঘাতের আবহ বজায় রেখে এই বৈঠক এড়িয়ে যাবেন তিনি।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত তিরিশে সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে নবান্নকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও প্রতিটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একইভাবে এই চিন্তন শিবিরে আমন্ত্রিত রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিজি।

 

দু’দিন ধরে সাতটি পর্বে হবে চিন্তন শিবির। শুরু ও শেষে বক্তব্য রাখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রত্যেক পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে চার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের। সাত আটটি রাজ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেবে বলে খবর। তবে কোন কোন বিষয়ে কোন কোন রাজ্য প্রেজেন্টেশন দেবে, সে-বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এমনকী আমিত শাহের সঙ্গে আলোচনাও হতে পারে। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

 

রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটির শুরুর দিনই অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির নর্থ ব্লক থেকে নবান্নে এই চিঠি আসে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠকে যোগ দেবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না নবান্নের শীর্ষকর্তারা। পুলিশের আধুনিকীকরণ, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, কারা (জেল) সংক্রান্ত, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, বিভিন্ন ধরনের সম্পত্তি রক্ষা করা; একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবেন বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এখন প্রশ্ন, রাজ্য সরকার বা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সুযোগ নেবেন কি নেবেন না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মমতাকে আমন্ত্রণ অমিত শাহর

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এমনিতে কেন্দ্র-রাজ্য অহিনকুল সম্পর্ক। কথায় কথায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনা যায় রাজ্যকে বঞ্চনার। বহু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বৈঠকে যোগ দেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কি দেবেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন! কোন বৈঠক, কেন বৈঠক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযকে এর মধ্যে আনছি কেন এসব প্রশ্ন মনের মধ্যে জাগতেই পারে। তাহলে একটু খোলসা করেই বলা যাক। সমস্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে আগামী ২৭ এবং ২৮ অক্টোবর চিন্তন শিবির বসছে হরিয়ানায়। হরিয়ানার ফরিদাবাদ সুরজকুণ্ডে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এই বৈঠকে আদৌ কি যোগ দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? নাকি শাহের বিরুদ্ধে সংঘাতের আবহ বজায় রেখে এই বৈঠক এড়িয়ে যাবেন তিনি।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত তিরিশে সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে নবান্নকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও প্রতিটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একইভাবে এই চিন্তন শিবিরে আমন্ত্রিত রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিজি।

 

দু’দিন ধরে সাতটি পর্বে হবে চিন্তন শিবির। শুরু ও শেষে বক্তব্য রাখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রত্যেক পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে চার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের। সাত আটটি রাজ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেবে বলে খবর। তবে কোন কোন বিষয়ে কোন কোন রাজ্য প্রেজেন্টেশন দেবে, সে-বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এমনকী আমিত শাহের সঙ্গে আলোচনাও হতে পারে। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

 

রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটির শুরুর দিনই অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির নর্থ ব্লক থেকে নবান্নে এই চিঠি আসে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠকে যোগ দেবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না নবান্নের শীর্ষকর্তারা। পুলিশের আধুনিকীকরণ, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, কারা (জেল) সংক্রান্ত, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, বিভিন্ন ধরনের সম্পত্তি রক্ষা করা; একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবেন বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এখন প্রশ্ন, রাজ্য সরকার বা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সুযোগ নেবেন কি নেবেন না।