পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রেল পথে ভ্রমণ আমাদের কমবেশি সকলেই পছন্দ করি। এক।স্টেশন থেকে আর এক স্টেশন। কত রকম মানুষ, তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়। তবে যদি বলি উল্টো রেলে ভ্রমণ বা ঝুলন্ত রেল পথে ভ্রমণ। মনে হবে কি সব যা তা বলছি। কিন্তু একেবারেই তা নয় জার্মানিতেই আছে এই ঝুলন্ত রেল পথ। সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে যা অন্যতম আকর্ষণ।
আপসাইড রেলওয়ে বা জার্মানির উপারটাল শ্বেবেবাহন। এই রেলওয়ে উপারটাল সানপেনশন রেলওয়ে নামেও বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এই রেললাইন ও রেলগাড়ি দেখলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন! মনে হবে, ঝুলন্ত অবস্থায় আছে এই রেলপথ। অনেকে আবার ভাববেন এটি বোধ হয় খেলনা রেলগাড়ি।আপসাইড-ডাউন’ বা সাসপেনশন রেলওয়ে একটি এলিভেটেড মনোরেল। এই ট্রেন একটি ট্র্যাকের নীচে ঝুলন্ত অবস্থায় চলাচল করে। এই মনোরেলটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮৯৮ সালে।
১৯০১ সাল থেকে এই রেল চালু হয়। ১৯২৫ সাল নাগাদ এই রেলওয়ে ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে বহন করে মাইলফলক তৈরি করে। ২০১৯ সালে এই উল্টো রেলে ‘জেনারেশন ১৫’ অর্থাৎ নতুন রেলগাড়ি প্রতিস্থাপন করা হয়।জার্মানির উত্তর রাইনের উপারটালে অবস্থিত এই মনোরেল শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করে রেলগাড়ি। এই রেলগাড়িতে চড়ে সেরা দৃশ্য উপভোগ করতে পেছনে সিটে বসতে হবে।
স্থানীয়রা যানজট এড়াতে এই উল্টো রেল ব্যবহার করেন। এই রেলের ফ্রিকোয়েন্সি প্রতি পাঁচ মিনিটে হয়, তাই কখনো দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয় না।
এই ট্রেন মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই ২০টি স্টেশন অতিক্রম করে আবারও মূল কেন্দ্রে পৌঁছায়। পর্যটকদের জন্য এই রেলে উঠতে জনপ্রতি গুনতে হয় ৭.৩০ ইউরো অর্থাৎ প্রায় ৭০০ টাকা আর স্থানীয়দের জন্য ৩ ইউরো অর্থাৎ ২৮৫ টাকা।
বর্তমানে এই সানপেনশন রেলপথ একটি ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠেছে। ওই অঞ্চলের আইকনিক প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত রেলওয়েটি। স্থানীয়রা এটি নিয়ে গর্ববোধ করেন।