https://youtu.be/gdS0qHXJM8A
পুবের কলম প্রতিবেদক : এক সময় সাউথ সিটি, লেক গার্ডেন্স, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এলাকায় মুসলিম বসতি ছিল। মহিশূরের টিপু সুলতান মারা যাওয়ার পর ইংরেজরা মনে করেছিল তাঁকে কেন্দ্র করে ফের ইংরেজ বিরোধী শক্তি মাথাচাঁড়া দিতে পারে। তাই তার বংশধরদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। টিপুর সেই বংশধররা প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের আশেপাশে অনেক মসজিদ-মাজার প্রতিষ্ঠা করেন। পরে দেশভাগ হলে এই অঞ্চল মুসলিমশূন্য হয়ে পড়ে। এখানে বর্তমানে প্রায় ৩৬০টি পরিবার বসবাস করেন। রয়েছে দু’টি মসজিদ ও একটি কবরস্থান। হিন্দুদের মধ্যে মিলেমিশে থাকেন মুসলিমরা। তাদের নিয়েই বিশেষ ইফতার মজলিশের আয়োজন করেন কলকাতার ৯৩ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাস। এই মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক দেবাশিস কুমার, রাজ্যসভার সাবেক সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আবু তাহের সরদার, কাউন্সিলর মৌসুমী দাস, রতন দে, রহিম বক্স ওস্তাগার মসজিদের ইমাম মুফতি মানজার আলম প্রমুখ।
এ দিনের ইফতার মজলিশে আহমদ হাসান ইমরান তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে স্থানীয় কাউন্সিলর ও বিধায়কের উদ্দেশ্যে বলেন, এখানে অল্পসংখ্যক মুসলিম বসবাস করেন, কিন্তু আপনারা বুঝতেই দেন না কে সংখ্যালঘু আর কে সংখ্যাগুরু। তাই আমরা এখানে ইফতার করতে সমবেত হয়েছিল। এটি সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রমযান উপলক্ষ্যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সারাদিন আমরা না খেয়ে রোযা করে থাকি। এই রোযা রেখে যদি মিথ্যা কথা বলি বা খারাপ কাজ করি তাহলে আমাদের রোযা হবে না। তাই আমাদের এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আল্লাহ্তায়ালা যাতে সকলের রোযা কবুল করেন সেই প্রার্থনাও করেন তিনি।
অন্যদিকে দেবাশিস কুমার বলেন, আমরা ইফতার মজলিসে যেমন যাই, তেমনি দুর্গাপুজার মণ্ডপেও সবাই যাই। সবাই মিলেমিশে থাকতে ভালোবাসি। এটাই বাংলার ঐতিহ্য। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রামনবমীর মিছিলে যেভাবে অন্যান্য রাজ্যে সংখ্যলঘুদের উপর আক্রমণ হয়েছে, তার বিপরীতে বাংলায় সবাই একসঙ্গে বসে ইফতার করছেন। এটাই তো পার্থক্য। গোখলের কথা ধরে বলতেই হবে বাংলার সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্ব দেশকে পথ দেখাবে। রতন দে, আবু তাহের সরদার সকলেই ইফতার মজলিশের গুরুত্ব ও সম্প্রীতির উপর কথা বলেন।