বিশেষ প্রতিবেদকঃ ভারতীয় হজ কমিটির সিইও (প্রধান কর্মাধক্ষ) মুহাম্মদ ইয়াকুব শেখ বলেছেন, ভারত থেকে কতজনকে এবার হজযাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে, সউদি সরকার সেই কোটা এখনও প্রকাশ করেনি। তবে আমরা আশা করছি, ভারত থেকে তুলনামূলকভাবে বড় সংখ্যায় পুণ্যার্থীরা হজযাত্রা করতে পারবেন। এ নিয়ে সউদি আরবের সঙ্গে একটি পারস্পরিক সমঝোতাপত্র সাক্ষর হতে চলেছে।
মুহাম্মদ ইয়াকুব শেখ বলেন, সউদি আরব সরকার আভ্যন্তরীণ ও বিদেশ থেকে আগত হাজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবছর (২০২২ সালে) তা ১০ লক্ষ করেছে। গত দু’বছর কোভিডের জন্য হজযাত্রার উপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপিত ছিল। মুহাম্মদ ইয়াকুব শেখ আরও বলেন, ভারত থেকে এ বছর হজযাত্রার আবেদনের শেষ তারিখ হচ্ছে ২২ এপ্রিল, ২০২২। মাহরম ব্যতীত হজ করার জন্য ২০০০ মহিলার কিছু বেশি এবার আবেদন করেছেন। অর্থাৎ তাঁরা মাহরম পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই কয়েকজনের দল গঠন করে হজ সম্পন্ন করতে চান। ইয়াকুব শেখ আরও বলেন, এ বছর হজে যাওয়ার জন্য ১ লক্ষের বেশি কিছু আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণত ভারত থেকে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার হজযাত্রীর কোটা রয়েছে। আর ভারতের হজ কমিটি প্রতি বছর ২.৪৫ লক্ষ হজের আবেদনপত্র পেয়ে থাকে। মুহাম্মদ ইয়াকুব শেখ বলেন, কোভিডের জন্য বর্তমানে পরিবারগুলিতে যে অর্থ সংকট চলছে এবং হজযাত্রার অনুমতি শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাবে কি না এই নিয়ে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তার জন্য হজে আবেদন প্রার্থীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
মুহাম্মদ ইয়াকুব শেখ আরও বলেন, ‘এ বছর অবশ্যই ভারত থেকে হজযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সউদি সরকারের কাছ থেকে শর্তাবলী ও নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি। সউদি সরকারের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতাপত্র সাক্ষরের বিষয়টি সম্পূর্ণ হলে কত ভারতীয় হজযাত্রায় সুযোগ পাবেন তা স্পষ্ট করে বলা যাবে।’আগেই জানানো হয়েছে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ বা মহিলাকে এ বছরের হজযাত্রায় অনুমতি দেওয়া হবে না এবং প্রত্যেককে সউদি আরবে আসার ৭২ ঘণ্টা পূর্বের কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে।