পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সংবিধানের জনক ভারতরত্ন ড. বি আর আম্বেদকরের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে ড. বি আর আম্বেদকারের প্রতিকৃতিতে মালদান করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ড. বি আর আম্বেদকরের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘জন্ম জয়ন্তীতে ভীমরাও রামজি আম্বেদকরকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা। সকলের মঙ্গলের জন্য এবং আমাদের সংবিধানের মূলনীতিকে সম্মুন্নত রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে, তাঁর জীবন ও কর্ম যেন আজীবন আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’
এদিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ড. আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে মাল্যদান করেন এবং তাঁর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাংসদ সুব্রত বক্সী। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ ড: আম্বেদকরের অবদান কোনদিন ভুলবে না।
রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু কলকাতার ময়দানে ড. আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করে বলেন, ড. আম্বেদকর জাতপাতের উর্দ্ধে কাজ করে গেছেন। সংবিধানে তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার দিয়ে গেছেন। তাঁর নাম শুধু ভারতবর্ষ নয় বিশ্বের মানুষ জানেন। শিক্ষামন্ত্রী বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের উদ্দেশ্যে তোপ দাগতে ছাড়েননি। মন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর মৃত্যুর এক বছর আগে সাম্প্রদায়িক শক্তির অত্যাচারে ড: আম্বেদকর হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।
অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি ফোরামের সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা বিধানসভার বিধায়ক ইদ্রিস আলী মাল্যদান করেন। ইদ্রিশ আলি বলেন, ড. আম্বেদকর ছিলেন জাতীয় সংহতির প্রতীক। তিনি আরও বলেন, সংবিধান প্রণেতা ড. আম্বেদকরকে বিজেপি কোনও দিন শ্রদ্ধা করেনি। বিধায়ক ইদ্রিশ আলি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর-এর সমালোচনা করে বলেন, বিজেপির কথা মতো রাজভবনকে তিনি দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছেন। যা সত্য নয়, তাও জনসমক্ষে বলছেন, তাঁর চলে যাওয়া উচিত। তা না হলে বাংলার ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষরা তাঁকে রাজভবনে ঢুকতে দেবে না। বিধায়ক ইদ্রিশ আলী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় শপথ বাক্য পাঠ করান।
অন্যদের মধ্যে ড. আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সন্দীপ বক্সী, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি ফোরামের সহ সভাপতি অরুণ জ্যোতিভিক্ষু, সম্পাদক পরমানন্দ মহারাজ, বিশপ শ্রীকান্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ আলি, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুক্তার আলি এতাসাহমুল হক প্রাক্তন সাংসদ তাপস মন্ডল, বিকাশ বরুয়া প্রমুখ। এদিন সভা শেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্ম গুরুদের দ্বারা সর্ব ধর্ম প্রার্থনা করা হয়।