পুবের কলম প্রতিবেদক: বঙ্গ রাজনীতিতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রাজনৈতিক অক্সিজেন খুঁজে বেড়াচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই হাতের কাছে যে ইস্যু পাচ্ছেন, তাকেই রাজনৈতিক হাতিয়ার করে পায়ের তলার মাটি ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন পদ্ম শিবিরের দুই শীর্ষ নেতা জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষ। বগটুইকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে এবার হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডকে হাতিয়ার করলেন।
ইতিমধ্যেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তদন্তের উপরে খুব একটা ভরসা না রাখতে পেরে দলের মহিলা নেত্রীদের নিয়ে গঠন করলেন বিশেষ সত্যান্বেষী দল। পাঁচ সদস্যের ওই দলে শুধুমাত্র বাংলা থেকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে ইংরেজবাজারের দলীয় বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। বাকি চার জন্যই ভিন রাজ্যের। যাঁদের আবার বাংলার ভূগোল নিয়ে কতটা সম্যক ধারণা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডকে হাতিয়ার করে বাংলায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রথম কয়েকদিন বিষয়টি নিয়ে শোরগোল করলেও আপাতত তার বগটুই নিয়ে পদ্ম শিবিরের নেতাদের গলায় উচ্চবাচ্য শোনা যাচ্ছে না। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার চলে যাওয়ায় রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড ঘরে তোলার সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। এবার তাই হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডের মতো প্রশ্নবিদ্ধ ঘটনাকে হাতিয়ার করে অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টায় নেমেছে গেরুয়া শিবির। বুধবার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে পাঁচ সদস্যের সত্যান্বেষী দল গঠন করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ওই দলে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার সদস্য বেবি রানি মৌর্য উত্তরপ্রদেশের সাংসদ রেখা বর্মা, তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন অভিনেত্রী খুশবু সুন্দর এবং ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
ঘটনাস্থল ঘুরে হাঁসখালির নির্যাতিতার সঙ্গে কী ঘটেছিল, তা নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে বিশেষ রিপোর্ট জমা দেবেন বিজেপির সত্যান্বেষীরা। কবে সত্যের অনুসন্ধানে হাঁসখালিতে যাবেন বিজেপির প্রতিনিধিরা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে নববর্ষের অনুষ্ঠানের পরেই ঘটনাস্থলে যেতে পারেন বলে খবর।