পুবের কলম প্রতিবেদক: বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। জাতীয় ক্ষেত্রেও এই ঘটনাকে তুলে ধরে একটা বড় ইস্যু করতে চাইছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস টিম তাদের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে এই নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। আর তা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে এই রিপোর্টের মাধ্যমে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তাতেই ক্ষুব্ধ তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকে জড়িয়ে তাঁকে গ্রেফতার করাতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল। আর একে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলেই আখ্যা দিচ্ছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাষায় জানিয়েছেন দল আর সরকার এক নয়। দলের কয়েকজন নেতারা এলেন, তারা তাদের মত করে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের সর্বভারতীয় সভাপতিকে রিপোর্ট দিলেন তার গুরুত্ব সরকারি বা পুলিশি তদন্তের সমান হতে পারে না।
সবচেয়ে বড় কথা, মোট তদন্তের চারভাগের একভাগ মাত্র তদন্ত হয়েছে, সেখানে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলছে তাহলে কি কোথাও না কোথাও তদন্ত শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে! তাহলে কি নির্দিষ্ট টার্গেট সেট করেই সিবিআইকে পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন বগটুই নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে। শুধু তাই নয় এই ঘটনার পর থেকেই প্রত্যেক ক্ষেত্রে এমনকি সিবিআই তদন্ত ঘোষণা হওয়ার পরেও সর্বত্র ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে সিবিআইকে এই তদন্তে সব রকমের সাহায্য করবে তারা। এরপরেও এইরকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টকে দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।