পুবের কলম প্রতিবেদক: চেন্নাই যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটতে প্রথমে ২০০০ টাকা জমা করে ছিলেন গ্রাহক। টিকিট তো দুরস্থ, উল্টে ট্রাভেল সংস্থার কাছ থেকে টিকিটের টাকাটাও ফেরত পেলেন না ওই গ্রাহক। ট্রাভেল সংস্থার পক্ষ থেকে টিকিট ক্রেতাকে জানানো হয়, পরবর্তী বুকিং-এ প্রাপ্ত টাকা ‘অ্যাডজাস্ট’ করে নেওয়া হবে। এই আশ্বাস পেয়ে দ্বিতীয় ধাপে ‘এয়ার’-এর টিকিটের জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল সংস্থাকে ৫৩ হাজার টাকা জমা করে ছিলেন কৃষ্ণ দে আগরওয়াল নামে জৈনিক ব্যক্তি। কিন্তু উভয় টাকাই আর পকেটে ফিরে পাননি সল্টলেক বিএফ ১৬৭ ব্লকের ওই বাসিন্দা। ‘ট্রাভেল’ টিকিট পাওয়ার নামে বারংবার প্রতারিত হয়েছেন। এমনটাই বুঝতে পেরে শেষমেশ দ্বারস্থ হন বিধাননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে। গতবছর আগস্ট মাস নাগাদ ‘দৃশনা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস’ নামক ওই বেসরকারি ট্যুরিজম সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন কৃষ্ণবাবু।
ট্রাভেলস সংস্থা চালানোর আড়ালে এভাবে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে সংস্থার কর্ণধার দেবব্রত ঘোষ (৪৫)-কে পাকড়াও করে বিধাননগর সাইবার থানা পুলিশ। সোমবার রাতে দমদম এলাকা থেকে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও সংস্থার একটি ট্রেড লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।