পুবের কলম প্রতিবেদক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষকে সবকারের যাবতীয় সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা সুনিশ্চিত করতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছে। গত কয়েক বছরে এই কর্মসূচি বিপুল সাড়া পেয়েছে। ব্যাপক সাফল্যের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত এই কর্মসূচির কথা বলেছেন। করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় চলতি মাসের শুরুতেই আবারও দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ঘোষণা করেন। আর তাতেই বিপুল সাড়া পেল দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। রাজ্যের জেলায় জেলায় এই সাফল্যের চিত্র ধরা পড়েছে। জেলায় জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তর ও পুরসভা এলাকায় ক্যাম্প বসিয়ে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই ব্যাপক সাড়া মিলছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে। ইতিমধ্যে ৯৮.৩ লাখ মানুষ পরিষেবা পেতে বিভিন্ন ক্যাম্পগুলিতে ভিজিট করেছেন। কেবল গত মঙ্গলবার গোটা রাজ্যে জুড়ে আয়োজিত ৪,৯৯০ ক্যাম্পে ৪.৬ লাখ মানুষের আগমন ঘটে। শনিবারে এই সংখ্যাটা ছিল ৩ লাখের ঘরে। আর ক্যাম্প সংখ্যা ছিল ২৮৮০ টি। কলকাতা শহরতলিতে পুরসভার পক্ষ থেকে কর সংক্রান্ত সমস্যার সুরাহার জন্য বিশেষ ক্যাম্প বসানো হয়। তবে অনেকে জমির মিউটেশন ও রেকর্ড সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ক্যাম্পগুলিতে আসছেন। স্বাস্থ্যসাথী ও লক্ষীর ভান্ডারের পরিষেবার চাহিদা সব থেকে বেশি।
সব থেকে বেশি মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যাম্পগুলিতে। গোটা জেলা জুড়ে মত ৬৪৪টি ক্যাম্প বসে এবং সেখানে ৫৪,৩৪৮ জন মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সরকারি আধিকারিক বলেন, এখনও অবধি ৪.৫ কোটি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের শরণাপন্ন হয়েছেন।
এবছর প্রথম দফার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির অনুষ্ঠিত হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং তা ওই মাসের ২১ তারিখ অবধি চালু ছিল। সে সময় ২৩ লাখ আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ৬ লাখ স্বাস্থ্যসাথীর জন্য, ৫.৫ লাখ লক্ষ্মীর ভান্ডার সংক্রান্ত ও বাকি ১ লাখ কাস্ট সার্টিফিকেট সংক্রান্ত।