অর্পিতা লাহিড়ীঃ আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবস-এর থিম হল “Gender equality today for a sustainable tomorrow।১৯০৮ সালে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন ১৫,০০০ নারী শ্রমিক। সেই থেকেই ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া এই দিনের। ১৯০৯ সালে আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি নারী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ রাষ্ট্রসংঘ ৮ মার্চ দিনটি কে ঘোষণা আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে। তার আগে অষ্ট্রিয়া, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে নারী দিবস পালিত হত ১৯ মার্চ। এরপর বেশকিছু দেশে দেখা গিয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি আলাদা করে পালিত হয় নারী দিবস।
১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ রাষ্ট্রসংঘ ৮ মার্চ দিনটি কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ।
করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে দেশের আর্থসামজিক পরিকাঠমোর ওপর। শ্রমজীবী মহিলাদের ওপরেও তার প্রভাব কিছু কম নয়, হাওড়া- খড়্গপুর লোকালে পুবের কলম ডিজিটালের মুখোমুখি এরকমই কিছু মহিলা হকার। তাঁদের সাফকথা পেটের দায় বড় দায়।ভুখা পেট মানেনা কোন যুক্তি, শোনেনা কোন কথা। এদের সকলেই প্রায় মহিলা হকার। কেউ আবার বড়বাজার থেকে প্লাস্টিকের বালতি, অ্যালুমিনিয়ামের বাসন ইত্যাদি কিনে সাঁকরাইল, আন্দুল, ইত্যাদি নানা জায়গায় ফেরি করে থাকেন।
করোনা মহামারীর জেরে এখন মাস্ক, স্যানিটাইজারের রমরমা বাজার।লোকাল ট্রেনের লেডিস কামরায় বিক্রিবাট্টা ভালোই। চাহিদা রয়েছে ডিজাইনার মাস্কেরও। তাই এই মাস্ক বিক্রি করেই এখন নিজের সংসারের ভরণপোষনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন অনেক মহিলা হকার।এই মহিলা হকারদের অনেকেই জানালেন করোনাকালে তাদের একমাত্র ভরসা ছিল ২ টাকা কিলো চাল।তবে এখন অফিস, স্কুল, কলেজ সবই খুলেছে। তাই ভিড়ও বাড়ছে লোকালে। তাই আস্তে আস্তে বদলাচ্ছে পরিস্থিতি।
আন্তর্জাতিক নারীদিবসে নিজেদের ভাবনা ভাগ করে নিলেন হাওড়া স্টেশনে কর্মরত মহিলা টিকিট চেকাররা। তাঁদের একজন পিউ রায় দাস জানালেন নারীর অধিকারের কথা যতই সোচ্চারে বলা হোকনা কেন পরিস্থিতি কি আদৌ বদলায়? তাই একদিনের আনুষ্ঠানিকতা নয় সারা বছরই যেন একজন মহিলা ঘরে হোক বা বাইরে নিজের কাজের যোগ্য পরিবেশ এবং সন্মানটুকু
প্রতিবছর আসে ৮ মার্চ,আন্তর্জাতিক নারী দিবস, কিন্তু কতটা বদলায় নারীর লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট। প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায় ।