পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বাড়ির অদূরেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার যুবকের দেহ। ‘খুনে’র ঘটনায় সন্দেহের তির স্ত্রীর দিকেই। ঘটনাটি মানিকতলার। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের নাম বাবলু সর্দার। বয়স ৩০ বছর। মানিকতলা থানা এলাকার মুরারিপুকুর রোডের বাসিন্দা মৃত। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বাড়ির কাছেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ‘নিথর’ বাবলুকে। আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় মৃতের বাবা মা অভিযোগ করেছেন যে, তাঁদের ছেলে বাবলুকে খুন করা হয়েছে। খুনের পিছনে বাবলুর স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ বাবলুর বাবা-মায়ের। অভিযোগ, এরপরই এই ঘটনায় এলাকাবাসী বাবলুর স্ত্রী সরস্বতী সর্দারকে মারধরও করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ বছর আগে সরস্বতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বাবলুর। দম্পতির ২ পুত্রসন্তানও রয়েছে। পেশায় বার সিঙ্গার ছিলেন বাবলু। ‘স্পাইস গার্ডেন’ নামে একটি বারে গান করতেন তিনি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৭টা-সাড়ে ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হতেন। ফিরতে ফিরতে রাত দেড়টা হয়ে যেত। স্কুটার করেই যাতায়াত করতেন তিনি। মঙ্গলবারও সন্ধ্যাবেলায় বারে যাবেন বলেই বাড়ি থেকে বের হন বাবলু। তবে রাতে নাকি আর বাড়ি ফেরেননি। এমনটাই দাবি করেছেন স্ত্রী সরস্বতী। যদিও তাঁদের ছেলে অন্য কথা বলছে। দম্পতির ১০ বছরের ছেলে জানিয়েছে, বাবা রাতে বাড়ি ফিরেছিল।এখন সকালবেলা বাড়ির অদূরেই উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ। যারফলে সবমিলিয়ে খুনের অভিযোগের তির উঠেছে স্ত্রীর দিকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাকে, মুখে রক্তের দাগ ছিল। দেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা