পুবের কলম প্রতিবেদক: পুরসভার ভোট গ্রহণ চলাকালীন রাজ্যের কয়েকটি বুথে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ভোট নিয়ে রাজ্যজুড়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। ১২ ঘণ্টার বনধেরও ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বনধও সুপার ফ্লপ হয়। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি বনধ ডাকা যে ভুল হয়েছে তা স্বীকার করে নেন। এই পরিস্থিতিতে দুই বুথে পুনর্র্নিবাচনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ মতো মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে দুটি বুথে। দক্ষিণ দমদম ও শ্রীরামপুরের দুটি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে চলছে সেই প্রক্রিয়া। কোভিড বিধি মানার বিষয়টাতেও নজর দিয়েছে কমিশন।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বুথে ও শ্রীরামপুর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথ মাহেশ যুব কিশোর সঙ্ঘে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল সাতটা থেকে। যাতে কোনও রকম অশান্তি না হয় তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে দুটি বুথেই। শ্রীরামপুরে বুথে ঢোকার সব রাস্তা কার্যত ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ। তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় দ্বিতীয়বারের ভোটে কম উৎসাহই চোখে পড়েছে ভোটারদের মধ্যে। খুব বেশ মানুষকে বুথমুখী হতে দেখা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মায়া মাইতি বিজেপি প্রার্থী বীনা প্রসাদ ও সিপিএমের প্রার্থী রিতা দাস। আর শ্রীরামপুরে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন শর্মিষ্ঠা দাস বাম প্রার্থী ভারতী সেন ও বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে প্রায় ২৪টি জায়গা থেকে ইভিএম ভাঙার অভিযোগ আসে। তারপরও কেন ২টি মাত্র বুথে পুনর্র্নিবাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সূত্রের খবর যে দুটি বুথে আবারও ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই দু’টির ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। দেদার ছাপ্পার অভিযোগও উঠেছিল। তবে কমিশন সূত্রে খবর, মূলত ভোটগ্রহণে কিছু ত্রুটি থাকার জন্যই ফের এই দুই বুথে ভোট করানো হচ্ছে।