পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ২৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের দেশে নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী স্যার সি.ভি. রমণের “রমণ এফেক্ট” আবিষ্কারকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য “জাতীয় বিজ্ঞান দিবস” হিসাবে পালিত হয়। এই বছরের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম হল: “ইণ্টিগ্ৰেটেড অ্যাপ্রোচ ইন সায়েন্স অ্যাণ্ড টেকনোলজি ফর এ সাসটেনেবল ফিউচার”।
এই উপলক্ষ্যে আমাদের দেশের বিজ্ঞান বিষয়ক আদি প্রতিষ্ঠান “ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্ৰেস অ্যাসোসিয়েশন”, কলকাতা চ্যাপ্টারের উদ্যোগে অ্যাসোসিয়েশনের সভাঘরে আজ এক মনোজ্ঞ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হল।
উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা। ছিলেন প্রফেসর বিজয় লক্ষ্ণী সাক্সেনা, সাধারণ সভাপতি, প্রফেসর অশোক কুমার সাক্সেনা, আহ্বায়ক, কানপুর চ্যাপ্টার, প্রফেসর মনোজ চক্রবর্তী, আহ্বায়ক, কলকাতা চ্যাপ্টার, এস. রামকৃষ্ণ, সাধারণ সম্পাদক, প্রফেসর রঞ্জিত কুমার ভার্মা, পূর্বতন কোষাধ্যক্ষ, প্রফেসর নিবেদিতা চক্রবর্তী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যা, প্রফেসর অভিজিৎ ব্যানার্জি, সাধারণ সম্পাদক, প্রফেসর বি.পি. চ্যাটার্জি, পূর্বতন সাধারণ সম্পাদক এবং ড. অতুল কুমার, কার্যনির্বাহী সম্পাদক প্রমুখ।
প্রত্যেক বিজ্ঞানীই আমাদের দেশে বিজ্ঞানের উন্নতিতে স্যার সিভি রমণের অবদান, বিজ্ঞানের প্রচারে অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা, বিজ্ঞানকে জনমুখী করে তোলার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন।
আলোচনাসভার প্রথম বক্তা ছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্ৰেসের চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখার সভাপতি বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য প্রফেসর গৌতম পাল। প্রফেসর পাল তাঁর মনোজ্ঞ আলোচনায় মানবদেহে বিভিন্ন খাদ্যতালিকাভুক্ত টক্সিন যেমন বিসফেনল এস, বিসফেনল এ, আজিনামোটো বা মোনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, রোডামাইন বি এবং মেটানিল ইয়োলোর কুপ্রভাব সম্বন্ধে আলোকপাত করেন। দ্বিতীয় বক্তা প্রফেসর সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, শারীরবিদ্যা বিভাগ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর বক্তৃতায় আর্গোনোমিক্স বা কর্মদক্ষতার বিভিন্ন দিকের উপর আলোকপাত করেন।
বক্তাদের অসামান্য দক্ষতায় আলোচনাসভাটি অত্যন্ত মনোগ্ৰাহী হয়ে ওঠে। ড. অতুল কুমারের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।