পুবের কলম প্রতিবেদক: ফের বিতর্কে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর আগে গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ-সি’র নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এবার এসএলএসটি বা স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট নিয়েও একই অভিযোগ। আর তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, ২০১৬-র নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর্থিক লেনদেনে বেনিয়ম থাকলে, খুঁজে বার করুক সিবিআই। এমনটাই বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ছিল সেখানে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তাঁদের নাম কোনওরকমভাবেই তালিকা বা প্যানেলে ছিল না। কিন্তু তাঁরা চাকরি পেয়েছে। প্রথমে যখন আদালতে এই মামলাটি ওঠে, তখন প্রাথমিকভাবে এসএলএসটির কাছ থেকে একটি রিপোর্ট চাওয়া হয়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দেখেন যে ৪ জানুয়ারি এসএসসির চেয়ারম্যান যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সেই রিপোর্টে উল্লেখিত তালিকাতেও ২ জন অভিযুক্তের নাম ছিল না। তাই বিচারপতি অত্যন্ত বিরক্ত হন।
এ দিন বিচারপতি সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টরকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ হল সিবিআই যেমন এই দুর্নীতির পিছনে কারা রয়েছে তাদেরকে খুঁজে বার করবে, তেমনি সিবিআই অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলবে এবং এর পিছনে আদৌ কী ঘটনা ঘটেছে তা খুঁজে বের করবে। আগামী ২৮ মার্চের মধ্যেই সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আবেদনকারীদের আইনজীবী জানান, নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তা হাইকোর্ট প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর নিশ্চিত। যে যে অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে, তা আদালত মান্যতা দিয়েছে। অভিযোগ নিয়োগের পিছনে পুরোপুরি টাকার খেলা চলেছে। ফেল করা প্রার্থীকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে শুধু টাকার বিনিময়ে। তালিকায় যাঁদের নামই নেই অথবা অনেক নীচের দিকে নাম ছিল তাঁরাও চাকরি পেয়েছেন। অন্যদিকে অনেক যোগ্য প্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।