পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ পুরভোটে ঠিক কতটা সন্ত্রাস হয়েছে তা জানতে আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আজ, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল ১০৮ টি পুরসভাতে ভোট হয়। নির্বাচন শুরু হতেই একের পর এক অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। কোথাও ছাপ্পা ভোট, কোথাও আবার বুথ জ্যাম, ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। এমনকি গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে জয়নগরে।খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে সংবাদমাধ্যমকেও।
অশান্তির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে কমিশনারকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পুরভোটে অশান্তি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা সংক্রান্ত যা অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন। আর সেই কারণেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ভোটগ্রহণে অশান্তির ঘটনার উল্লেখ করেন তিনি, সেটিকে ‘গণতন্ত্রের ব্যর্থতা’ বলেও ব্যাখ্যা দেন রাজ্যপাল।
পুরভোটের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ করছে বিজেপি। বনধ সফল করতে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মীরা পথে নেমেছেন।
এদিকে সেই বনধ সফল করতে রাস্তায় বিজেপি কর্মীরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা যায় যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও আরামবাগ, ঘাটাল, হুগলিতে। দক্ষিণবঙ্গে বেহালা, যাদবপুর থেকেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে আরামবাগে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের। পথ অবরোধের জেরে আরামবাগ-কলকাতা, আরামবাগ-মেদিনীপুর ,আরামবাগ- বাঁকুড়া, আরামবাগ-বর্ধমান রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। বিজেপির মিছিলে ঘাটালে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি। ঘাটালে বনধের সমর্থনে বিজেপি কর্মীদের মিছিল, বন্ধ করা হল দোকানপাট, ব্যাঙ্ক, ভাঙচুর করা হয়েছে যাত্রীবাহী বাসের কাচও। হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ করছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তবে বনধে কোনও আলিপুরদুয়ারে, পূর্ব বর্ধমানে সেই রকম প্রভাব পড়েনি।