আবদুল ওদুদ: ২০২৫ সালে হজের সম্ভাব্য উড়ান ২৯ এপ্রিল থেকে। আর এই প্রক্রিয়া চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় হজ কমিটির দেওয়া ২০২৫ এবং হিজরি ১৪৪৬ বর্ষের গাইড লাইন অনুযায়ী এই তথ্য সামনে এসেছে। সম্ভবত কলকাতা সহ আরও যে এমবার্কেশন পয়েন্ট রয়েছে সেকান থেকেই এই বিমান ছাড়বে। অর্থাৎ মনে করা হচ্ছে দেশে যে ২০ টি এমবার্কেশন পয়েন্ট রয়েছে সেখান থেকেই ২৯ এপ্রিল থেকে হজের সম্ভাব্য উড়ান যাত্রা শুরু করবে।
আর হজ সম্পন্ন করে দেশের হাজীরা ফিরতে শুরু করবেন ১১ জুন থেকে। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় হজ কমিটির দেওয়া গাইড লাইন অনুযায়ী এবছরও ২০ এমবার্কেশন পয়েন্ট নির্ধারিত হয়েছে। সেগুলি হল, আহমেদাবাদ, ঔরাঙ্গাবাদ, বেঙ্গালুরু, ভুপাল, কালিকট, চেন্নাই, কোচিং, দিল্লি, গয়া, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, ইন্দোর, জয়পুর, কান্নর, কলকাতা, লখনৌ, মুম্বাই, নাগপুর, শ্রীনগর এবং বিজয়ওয়াড়া। কেন্দ্রীয় হজ কমিটির গাইড লাইন অনুযায়ী ২০২৫ সালেও হজের খরচ ২০২৪ সালের মতোই রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজের খরচ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। কুরবানি বাদে। এছাড়াও আনুসাঙ্গিক খরচ রয়েছে। তবে ২০টি এমবার্কেশন পয়েন্ট থেকে হজের খরচ আলাদা। আহমেদাবাদ থেকে হজের খরচ ৩ লাখ ৩২ হাজার। শ্রীনগর এবং বিজয়ওয়াড়া থেকে ৪ লাখের বেশি। একইভাবে মুম্বই থেকে হজের খরচ ৩ লাখ ২১ হাজার, দিল্লি থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার, কোচিং থেকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার, চেন্নাই থেকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার, কলকাতা থেকে ৩ লাখ ৫৮ হাজার। সব থেকে হজের খরচ বেশি গয়া থেকে হজ সম্পন্ন করতে হলে ৪ লাখ ১১৬০০ টাকা।
কেন্দ্রীয় হজ কমিটি এ বছরে কোন রাজ্য থেকে সউদির বিমান ভাটা কত তারও একটি সম্ভাব্য তালিকা দিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে গয়ার হজযাত্রীদের মাথা পিছু বিমান ভাড়া ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৩ টাকা। গুয়াহাটির বিমান ভাড়া ১ লাখ ৭১৭৪৮ টাকা। পশ্চিমবঙ্গ হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া দিতে হবে ১ লাখ ২০৬৫৫ টাকা। সব থেকে কম বিমানভাড়া মুম্বইয়ের হজযাত্রীদের। মুম্বই থেকে হজের ভাড়া ৮৩ হাজার টাকা। শ্রীনগর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকার মত। বিজয়ওয়াড়া ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
কেন্দ্রীয় হজ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০২৫-এর আসল বিমান ভাড়া এটি সঠিক নয়। সমস্ত প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করবে। ফলে কিছুটা রদবদল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে হজ সুবিধা অ্যাপ বাধ্যতা মূলক, হজ সুবিধা অ্যাপের মাধ্যমে নানা তথ্য জানতে পারবেন। এবারে একটি একটি কভারে এক থেকে ৫ জন থাকতে পারবেন। যদি কোনও হজযাত্রী নির্ধারিত সময়ের আগে আসতে চান সেক্ষেত্রে পুরনো বোর্ডি পাস বাতিল হবে। নিজের খরচে হজযাত্রীকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। সেক্ষেত্রে হজ কমিটিকে দেওয়া কোনও অর্থ ফেরত পাবেন না।