বেইরুট, ২৫ আগস্ট: কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়ছে হিজবুল্লাহ। এরপরই হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। ইসরাইলের সেনা ব্যারাক, আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও দেশটির প্রধান সামরিক স্থাপনাগুলির দিকে ৩২০টি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। পরিকল্পনা মাফিক হিজবুল্লাহর রকেটগুলো নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, মেরন ঘাঁটি ও অধিকৃত গোলান মালভূমির ৪টি স্থানসহ ইসরাইলের ১১টি সামরিক ঘাঁটি ও ব্যারাকে ৩২০টিরও বেশি কাতিউশা রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। জবাব দিতে হিজবুল্লাহও দফায় দফায় রকেট মেরেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের শঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় তেল–আবিব বিমানবন্দর। ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইসরাইলে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। ইসরাইলি মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হিজবুল্লাহর ‘হুমকি’ দূর করতে ‘সক্রিয়ভাবে’ বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এর আগে গত শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনীর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের ৩টি সশস্ত্র গোষ্ঠী। হামাসের সঙ্গে যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে ইসলামিক জিহাদ ও আল আকসা ব্রিগেডস। ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার দিয়ে হামলা চালানো হয়। গাজা শহরের দক্ষিণে নেটজারিম করিডোরে একটি ইসরাইলি কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করে হামাস। এদিকে, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় শনিবার ফিলিস্তিনের গাজায় ৭১ জন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতির আলোচনার মাঝেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুলডোজার ও ট্যাঙ্ক নিয়ে মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ শহরে অভিযানে অংশ নিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। গত ২ দিনে সেখান থেকে এক লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়েছেন। জানা গেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি সইয়ের লক্ষ্য নিয়ে মিশরের রাজধানী কায়রোয় আলোচনা চলছে। আলোচনায় অংশ নিতে জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল–হায়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে হামাস।