পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ থামল ২৮ দিনের লড়াই। সুরলোকে যাত্রা করলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। শোক স্তব্ধ গোটা দেশ
অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল শনিবার তাঁকে ফের ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। শনিবার বিকেলের মেডিকেল বুলেটিনে জানানো হয় এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। হাসপাতালে চলে আসেন আশা ভোঁসলে সহ মঙ্গেশকর পরিবারের সদস্যরা। আসেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের স্ত্রী রেশমি ঠাকরে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মারাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার সিনেমায় গান গাওয়া। মরাঠি ছবিতে। মুম্বই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি ছবিতে গান। ‘মজবুর’ ছবিতে।
১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে একজন পেশাদার কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তারপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সাত দশকে সহস্রাধিক চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষা ও বিদেশি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। গেয়েছেন চলচ্চিত্রের বাইরে আরও অনেক গান।
১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বিশ্বে সর্বাধিক গান রেকর্ড করার জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে তার। এই সময়ে তিনি ২০টি ভাষায় ২৫০০০ এর বেশি গানে কণ্ঠ দেন। কিন্তু ২০১১ সালে এ রেকর্ডটি ভেঙে দেন তারই ছোট বোন আশা ভোসলে।
লতা মঙ্গেশকর ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। পেয়েছেন দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার চারবার সেরা মহিলা প্লেব্যাক, ১৯৯৩ সালে আজীবন সম্মাননা এবং ১৯৯৪-২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ১২ বার বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস’ অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার।