পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি ‘চু কিত কিতের দল’, দুর্যোধন, দুঃশাসন বেঁচে থাকলে এদের অপকর্ম দেখলে আজ ডুবে মরত’। আজ তৃণমূলের সাংগঠিক নির্বাচনে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে পর পর আক্রমণ শানাতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, বাজেটকে সামনে এনে বলেন, কাল একটা বাজেট হয়েছে। আরে মানুষ চাল,ডাল চায় না। হিরে দিচ্ছে। মানুষ কি হিরের চচ্চড়ি বানিয়ে খাবে? ওরা নিজে হিরের ঘন্ট বানিয়ে খাক’।
এদিন মমতা বলেন, অনেক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আজ তৃণমূল এই জায়গায় এসেছে। চার বছর পর তৃণমূলের সাংগঠিক নির্বাচন হল। অনেক বাধা, প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আজ তৃণমূল এই জায়গায়। তৃণমূল মানেই সংগ্রাম, লড়াইয়ের নাম। ২০১৬ সালেই সর্বভারতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে তৃণমূল।
এদিন মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী বলেন, দেশ থেকে বিজেপিকে হঠাতে তৃণমূলকে আরও মজবুত করতে হবে। আমরা চেয়েছিলাম, দেশ থেকে বিজেপিকে হঠাতে সবাই একযোগে আসুন। যদি কেউ না আসে, তাহলে কবিগুরুই আমার প্রেরণা। ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তাহলে একলা চলার নীতি নিয়ে চলব।’ মনে রাখবেন তৃণমূল বিবেকানন্দের আদর্শে বিশ্বাসী। তাই তৃণমূল কিছুতেই মাথা ঝোঁকাবে না’।
পদ্মশ্রী থেকে পদ্মভূষণ নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা। এদিন তিনি বলেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অপমান করা হয়েছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বিকল্প কিছু কি হবে? রাশিদের বাড়িতেও বিজেপির দুজন প্রতিনিধি গিয়েছিলেন। ‘পদ্মভূষণ নিয়ে রাজনীতির দূষণ’।
রাজ্যপালের নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, মা ক্যান্টিনে ডিমের ঝোল ভাত কেন খাওয়াই সে কৈফিয়ৎ দিতে হবে ওঁনাকে? উনি সবজান্তা। সব সময় আমাকে গালাগাল দেয়। ঘরে বসে দূরবীণ লাগিয়ে দেখছে, বাংলায় কোথায় খুন খারাপি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া কোনও কাজ করা যায় না। যখন তখন মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠাচ্ছে।
নাম না করে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, দিল্লি থেকে একটা ঘোড়ার পাল পাঠিয়েছে রাজ্য শাসন করতে। ২৬ জানুয়ারির প্যারেডে একটা ঘোড়ার পাল দেখেছিলাম। আমাদের মাউন্টেড পুলিশ আছে। তারাও জানতে পেরেছে, এখানে ঘোড়ার পাল আছে। তাই ওরা রেগে গিয়েছে।
পেগাসাস ইস্যুতেও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ফোনে কথা বললেই পেগাসাস। এর জাস্টিস দরকার। মানুষের কোনও অধিকার নেই ফোনে কথা বলার? অভিষেক, পিকের সবার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে।
ম্যারাথন তোপে বিজেপিকে এদিন ক্রমশই কোণঠাসা করেন মমতা। মমতা বলেন, সিবিআই আর ইডি হল বিজেপির রত্ন। মানুষ কোথায় যাবে? খালি কোভিডের দোহাই দিচ্ছে। রেল থেকে সেল সব বেছে দিচ্ছে। নোটবন্দির পালটা হল আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আমাদের প্রকল্পে খুশি হয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক আমাদের প্রকল্পে টাকা দিয়েছে।
এদিন সভা থেকে কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা। এদিন তিনি বলেন, মেঘালয়, চন্ডীগড়ে বিজেপির হয়ে ভোট দিচ্ছে কংগ্রেস।
এদিন সভা শেষের আগে মমতা বলেন, দুর্গাপুজোকে সম্মান জানিয়েছে ইউনেস্কো। দুর্গাপুজোর আগে মিছিল হবে। সেখানে সবাই অংশগ্রহণ করবে। সংখ্যালঘু মহিলারাও অংশগ্রহণ করবে। গোটা দেশ সেদিন শঙ্খ, উলুধ্বনি দেবে।