কলকাতাSaturday, 22 January 2022
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিমতলা ঘাটে সুভাষ ভৌমিকের শেষকৃত্য, অর্ধনমিত থাকবে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পতাকা

mtik
January 22, 2022 2:00 pm
Link Copied!

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কোভিড প্রোটোকল মেনে নিমতলা ঘাটে কিংবদন্তী ফুটবলার কোচ সুভাষ ভৌমিকের শেষকৃত্য। এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁর শেষকৃত্যে শামিল হন ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস। এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘আজ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সুভাষ ভৌমিককে শ্রদ্ধা জানালাম আমি ও অরূপ বিশ্বাস। সুভাষদার খেলা দেখে বড় হয়েছি। ছোটবেলায় তাঁকে একবার দেখব বলে রাসবিহারী মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। পরে আলাপ হয়, বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে’।

ছবি-সন্দীপ সাহা

আজ প্রবাদপ্রতিম এই ফুটবলারের প্রয়াণে অর্ধনমিত থাকবে ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগান ক্লাবের পতাকা।

প্রবাদপ্রতিম ও আর্শিয়ান কাপ জয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিক। সম্প্রতি তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী তাকে ইকবালপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। যদিও চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শনিবার ভোররাতে ৭৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগ জেতানো কোচ সুভাষ ভৌমিক। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন কোচ সুভাষ ভৌমিক। জানা গিয়েছে, বিগত তিনমাস ধরে তার ডায়ালাইসিস চলছিল। মাঝে তার বুকে সংক্রমণ হয়েছিল। পরে শোনা যায় তিনি করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাতে তাকে ইকবালপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।

প্রসঙ্গত, সুভাষ ভৌমিক প্রকৃত অর্থেই ছিলেন একজন ‘অলরাউন্ড ফরোয়ার্ড।’ প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরু মেনে  কোচ হিসেবে পথ চলা শুরু করেছিলেন। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান-সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবে তিনি কোচ হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তবে কোচ হিসেবে সুভাষ ভৌমিকের সেরা সাফল্য ২০০৩ সালের এশিয়ান ট্রফি। তবে ব্যক্তিগত জীবনকে কোনওদিনও খেলার মাঠে আসতে দেননি সুভাষ ভৌমিক। অল্পবয়েসেই নিজের সন্তান হারান তিনি। তবুও ভেঙে না পড়ে নিয়ম করে ময়দানে গিয়েছেন। ফুটবলই ছিল তাঁর বরাবরের জীবনিশক্তি। তাই জীবনের বড় সমস্যায় পড়লেও ফুটবলকে কোনও দিন ছেড়ে যাননি।

 

কোচিং করানোর সময় রাখতেন সারা বিশ্বের খেলার খবর। বিদেশি ফুটবল সাময়িকী পড়তেন তিনি। দলের সার্বিক উন্নতিতে তথাকথিত নামী ফুটবলারদেরও একটানা রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখতে কখনও দুবার ভাবেননি তিনি। যে ফুটবলারের মধ্য়েই তিনি প্রতিভা দেখেছেন, তাকেই স্থান দিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক।

কিংবদন্তী এই ফুটবলার তিনি তাঁর খেলার ক্যারিয়ারে, কলকাতা ফুটবল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের “বিগ টু” এর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। সুভাষ ভৌমিক ইস্টবেঙ্গল এফসি-তে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে। তার পর ১৯৭০ সালে মোহনবাগানে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে মোহন বাগানে ইস্ট বেঙ্গলে ফিরে আসেন এবং ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন, তারপরে তিনি মোহনবাগানে পুনরায় যোগ দেন।

সুভাষভৌমিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ভারতীয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন, যেটি ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিল। সুভাষ ভৌমিক Merdeka Cup ও Pesta Sukan Tournament প্রতিযোগিতা করেন। সুভাষ ভৌমিককে ইস্টবেঙ্গল কোচের একজন সফল কোচ হিসেবে ধরা হয়। ২০০৬’র মরশুমে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ ছিলেন।