কলকাতাThursday, 20 January 2022
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ক্যাডারস রুল-এ বদল নিয়ে দ্বিতীয় চিঠি মমতার

mtik
January 20, 2022 8:23 pm
Link Copied!

পুবের কলম প্রতিবেদনঃ সর্বভারতীয় স্তরের আমলাদের নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণের নিয়ম ‘ক্যাডারস রুল-এ বদল আনতে চরম পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অবস্থায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। এরপর সাত দিনের ব্যবধানে আজ আবার প্রধানমন্ত্রীকে একই বিষয় নিয়ে চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুবার চিঠি লিখলেন তিনি। দ্বিতীয় চিঠিতে দানবীয় আখ্যা দিয়ে এই সংশোধনী থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের এই সংশোধনী প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর একেবারে পরিপন্থী বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

১৯৫৪ সালের আইএএস (ক্যাডার) রুল সংশোধনী নিয়ে লেখা এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন–  আমলারা রাজ্য প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রতিটি মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কেন্দ্র তাদের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করলে বহু কাজের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরোধও আরও বাড়বে। বিষয়টিকে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি–  রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে কোনও আমলাকে কেন্দ্র যদি সরিয়ে নেয়–  তাহলে তা নিঃসন্দেহে রাজ্যের অধিকার খর্ব করার সামিল।

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ক্ষেত্রেও তা বিপদজ্জনক। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দাবি–  আইএএস আইন সংশোধনীতে আমলাদের মধ্যে ‘ফিয়ার সাইকোসিস’ তৈরি হবে। যা তাঁদের কাজের পারফরমেন্সকে প্রভাবিত করবে। তাছাড়া এই সংশোধনীর ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

এ দিনের দু’পাতার চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন– ধরা যাক একজন আইএএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য থেকে সরিয়ে নিয়ে দেশের যে কোনও জায়গায় তাকে পোস্টিং দিতে চায়। এক্ষেত্রে কেন্দ্র সেই অফিসারের ব্যক্তিগত অনুমতি নিতে বাধ্য নয়। এমনকী যে রাজ্যের হয়ে সেই অফিসার কাজ করছিলেন–  সেই সরকারের অনুমতিরও প্রয়োজন নেই নয়া সংশোধনীতে। এই পদ্ধতি চালু হলে দেশে অতিমাত্রায় ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ হবে– কাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে।