পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: স্বামীকে অন্য ঘরে থাকতে বাধ্য করা,
তার সঙ্গে না থাকতে চাওয়াও নির্যাতন। এমনটা করলে স্বামীর প্রতি শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন
হয়। সম্প্রতি একটি মামলার রায়ে এই মন্তব্য করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজন রায়
ও বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এই রায় দেন। শুনানি শেষে ফ্যামিলি কোর্টের রায় বাতিল করে
আবেদনকারী স্বামীকে বিচ্ছেদের জন্য অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের
হয়। ফ্যামিলি কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যান ওই স্বামী। তার বক্তব্য ছিল,
দিনের পর দিন তার স্ত্রী তাকে নিজের ঘরে ঢুকতে দিতেন না। তার সঙ্গে কোনও রকম বৈবাহিক
সম্পর্ক রাখতেন না। এই ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি চেয়েছিলেন আবেদনকারী।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতিরা বলেন, স্বামী বা স্ত্রীর আচরণে
যদি তার সঙ্গীর মনে হয়, তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া নিরাপদ নয়, তাহলে সেটাও
মানসিক নির্যাতন। একজনের আচরণে যদি অন্যজন ক্রমাগত কষ্ট পায় তবে সেটা মানসিক নির্যাতন।
শারিরীক নির্যাতনের প্রমাণ দেওয়া গেলেও মানসিক নির্যাতনের প্রমাণ সেভাবে পেশ করা সম্ভব
হয় না।
আদালত বলে, বৈবাহিক সম্পর্কের একটা অংশ হল একত্রবাস। কিন্তু
অভিযোগকারীর সঙ্গে থাকতেন ও না তার স্ত্রী। দিনের পর দিন তাকে আলাদা ঘরে থাকতে হত।
এটা অবশ্যই শারিরীক নির্যাতন এবং মানসিক নির্যাতন। এরপরই আদালত ওই ব্যাক্তিকে বিবাহ
বিচ্ছেদের অনুমতি দেয়।