দেবশ্রী মজুমদার, নলহাটি: মানুষের চাহিদামতো দীর্ঘদিন সংসদে লড়াই চালিয়েছেন সাংসদ শতাব্দী রায়। রেলওয়ের গেরোয় রেলের জায়গাই বেশকিছুটা রাস্তায় রাস্তা করতে পারতো রাজ্য পূর্ত দফতর। কারণ রেলওয়ের কাছে আবেদন করেও কোনো অনুমতি মেলেনি। তার প্রতিবাদে সংসদে সোচ্চার হন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়। তার সুফল মিললো এতদিন পর।
পাঁচই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা নাগাদ নলহাটি দুই নম্বর ব্লকের লোহাপুর স্টেশনে উপস্থিত হন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, লোহাপুর থেকে রেল লাইনের ধার দিয়ে নওয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারসান্ডা সালিসান্ডা গ্রাম হয়ে মুর্শিদাবাদের মোরগ্রাম যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই রাস্তা নিয়ে পোলিও বয়কট থেকে শুরু করে রাস্তা অবরোধ, বিভিন্ন জায়গায় লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েও ফল কিছু হয়নি। রেলের জায়গায় হওয়ার জন্য প্রসাশন এই রাস্তার মেরামতের কাজে হাত লাগাতে পর্যন্ত পারেনি।
ভোটের সময় তৃণমূলের শতাব্দী রায় প্রচারে এলে তাকে এলাকাবাসীরা সব জানিয়েছিলেন। শতাব্দী রায় জয়ী হয়ে সংসদে গিয়ে বারবার এই রাস্তার কথা তিনি তুলে ধরেন কিন্তু কোন কর্ণপাত না হওয়ায় ,ফের নয়ই আগস্ট আবার তিনি সংসদে এ বিষয়টি তুলে ধরেন। এছাড়াও বাম কংগ্রেস জোটের বিরোধী দলনেতা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ সাব্বির হোসেনও লিখিত আকারে রেল কর্তৃপক্ষকে এই দাবি জানিয়েছিলেন কয়েকদিন আগে। আজ রেল আধিকারিকরা লোহাপুর স্টেশনে এসে বিডিও ও এলাকার সব রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা বলেন।
আধিকারিকরা জানান, লোহাপুরের ১২ নাম্বার রেলগেট থেকে ১৭ নাম্বার রেলগেট অব্দি রাস্তা স্যাংশন হয়ে গেছে। এছাড়াও এলাকাবাসীরা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বরা তাদের কাছে আর একটা দাবি রাখেন সেটা লোহাপুর থেকে ব্লক যাওয়ার রাস্তাটি সংস্কারের কথা তুলে ধরেন। তখন আধিকারিকরা জানান, এটি কিছুদিনের মধ্যে এটিও স্যাংশন হয়ে যাবে। বলতেই খুশিতে তৃণমূলের নেতৃত্ব কর্মী সমর্থকরা ও এলাকাবাসীরা আনন্দে সাংসদ শতাব্দী রায়ের নামে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন।
লোহাপুর বাজারে ও মিষ্টিমুখ করানো হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ব্লকের ফাইভ ম্যান কমিটির সদস্যরা,নওয়াপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান, বিডিও রজত রঞ্জন দাস, বিরোধী দলনেতা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ কংগ্রেসের সাব্বির হোসেন ও সিপিআইএমের খাইরুল হাসান সহ এলাকা বাসীরা।