ক্যালিফোর্নিয়া, ৫ সেপ্টেম্বর: বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে একটি মিশরের রাজধানী কায়রো। গত এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে শহরটি মিশরের রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এবার কায়রোর ওপর চাপ কমাতে রাজধানী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মিশর সরকার। নতুন এই রাজধানীর নাম রাখা হয়েছে নিউ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যাপিটাল (ন্যাক)। কায়রো থেকে ৪৫ কিলোমিটার পূর্বে মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত ন্যাকের আয়তন ৭৩৫ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ আয়তনের দিক থেকে নতুন এই রাজধানী শহর সিঙ্গাপুর রাষ্ট্রের সমান। উত্তর আফ্রিকার দেশ মিশরের আয়তন ১০ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১০ কোটি ৭৭ লক্ষ ৮৫ হাজার। দেশটির মোট জনসংখ্যার বড় অংশই বসবাস করে কায়রোতে। এছাড়া মিশরের সরকারি–বেসরকারি যাবতীয় দফতরের প্রধান কার্যালয়ের অবস্থানও কায়রোয়। ফলে বছরের পর বছর ধরে জনসংখ্যার ভারে প্রায় ভেঙে পড়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে ২,৭৩৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কায়রো। এই পরিস্থিতিতে ২০১৫ সালে কায়রো থেকে রাজধানী সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। তবে করোনা মহামারির কারণে সেই কাজ বন্ধ ছিল। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর প্রকল্পের কাজ ফের শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে তা শেষের পথে। মিশরের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সাল বিদায় নেওয়ার আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে ১,৫০০–রও বেশি পরিবার কায়রো থেকে ন্যাকে গিয়ে বসবাস শুরু করেছেন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সম্প্রতি মিশরের নতুন রাজধানীর দু’টি স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে। মিশরের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন রাজধানী শহরে পর্যাপ্তসংখ্যক বহুতল ভবনের পাশাপাশি বিভিন্ন পার্ক ও কৃত্রিম হ্রদ থাকবে। সবচেয়ে বড় পার্ক গ্রিন রিভারের আয়তন হবে ১০ কিলোমিটার।