উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,সুন্দরবন : যেখানে সরকারি স্কুল পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঠিক সেখানে পড়ুয়ার জায়গা দিতে হিমসিম খাচ্ছে সুন্দরবনের বাসন্তীর একটি সরকারি স্কুল।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলে ও আর পাঁচটা নাম করা বেসরকারি বিদ্যালয়কে গুনে গুনে কয়েক গোল দিতে পারবে সুন্দরবনের বাসন্তীর চুনাখালি হাটখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে দিনের পর দিন সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলো পড়ুয়াদের অভাবে বন্ধের মুখে সেখানে এই স্কুলে সম্পূর্ণ অন্য ছবি।কার্যত এত পড়ুয়া এই স্কুলে যে ক্লাসরুমে জায়গা দেওয়ায় দায় হয়ে যাচছে শিক্ষকদের।এই স্কুলেই পড়ুয়াদের নিরাপত্তা ও আরও ভালোভাবেশিক্ষাদানের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির বেশ কয়েকটি গেজেট চালু করা হয়েছে। স্কুলের তরফে চালু করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। স্কুলের সমস্ত কক্ষে যেমন ক্যামেরা বসানো হয়েছে তেমনি স্কুলের আশপাশে ও বাইরে ও এই ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি এলইডি টিভি, সাউন্ড সিস্টেম যেমন চালু করা হয়েছে তেমনি ইন্টারকম সিস্টেমও চালু করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে ক্লাসরুম থেকেই ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। শিক্ষকরাও ক্লাসে ক্লাসে কোন বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন হলে সেটা দিতে পারবেন। স্কুলে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক ঘন্টাও চালু করা হয়েছে।
কিন্তু যেখানে একের পর এক সরকারি প্রাথমিক স্কুল প্রায় বন্ধের মুখে সেখানে এই স্কুলে এত কিছু কিভাবে সম্ভব হল? এই প্রশ্নের উত্তরে বাসন্তীর চুনাখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিমাই মাল বললেন, আসলে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। আমরা নিজেরা যেমন নিজেদের বেতনের কিছুটা অংশ স্কুলের উন্নতির জন্য ব্যয় করেছি তেমনি অভিভাবকরাও স্কুলের উন্নতির জন্য স্কুলের সাহায্য বাক্সে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে।
এছাড়াও এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষজনও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাই এই কাজ সম্ভব হয়েছে।
আগামী দিনে এই স্কুলকে সাজাতে আরও কিছু পরিকল্পনা আছে।আর সুন্দরবনের এই স্কুল অন্যান্য স্কুল গুলির কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলো যা কিনা সুন্দরবনের অন্যান্য স্কুলগুলোকে ও ভাবাবে।