উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : টিউশন থেকে ফেরার পথে এক স্কুল ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানিকে ঘিরে চরম উওেজনা কুলতলিতে।আর এই হেনস্থার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা টোটো চালক।
এব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, কয়েক জন সহপাঠীর সঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল তাঁর দশম শ্রেণীর মেয়ে। সঙ্গে ছিল ওর সহপাঠীরা। ওই ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করা হয়েছে। মুখও চেপে ধরা হয়েছে ৷
এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নির্যাতিতার পরিবার ৷ আর এই ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার ভোর রাতে দু’জন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে কুলতলি থানার পুলিশ ৷ ধৃতেরা হলেন ওবাইদুল্লা লস্কর ও শাহজাদ লস্কর, ধৃত দুজনেরই বাড়ি কুলতলি থানা এলাকায় ৷ ধৃতদের শনিবার বেলায় কুলতলি থানা থেকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ছাত্রীর বাবা বলেন, কয়েক জন সহপাঠীর সঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল সে। তখনই একটি টোটো তাদের কাছে এসে থামে ৷ টোটোচালক শাহজাদ লস্কর ও ওবাইদুল্লা লস্কর ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেন ৷ তার হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন। সে চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ঐ ছাত্রীর বাবা ৷
সে সময়ে বাকি ছাত্রীরা চিৎকার করলে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা ৷আর এই ঘটনায় আতঙ্কিত নির্যাতিতা সহ বাকি ছাত্রীরা ৷ তারা পুরো বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে জানায় ৷
এর পর নির্যাতিতা এবং তার এক সহপাঠী, দু’জনের বাবা অভিযুক্ত দের খোঁজ শুরু করেন। তাঁরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে ফেললে তাঁদের পাল্টা হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷এর পরে এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা ৷ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে দুই অভিযুক্তকে এলাকা থেকেই গ্রেফতার করে কুলতলি থানার পুলিশ ৷
নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষাও করা হয় জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে৷
বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস শনিবার বলেন,নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে কুলতলি থানার পুলিশ৷ এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ধৃতদেরকে এদিন আদালতে পাঠানো হয়।