পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট-এ ৬টি প্রশ্ন ভুল মামলা আদালতে বিচারাধীন। এ দিকে ২০১৬ সালে এবং ২০২০ সালে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া করে কমিশন। আদালতে আবেদনকারীদের দাবি– ৬টি প্রশ্নভুল মামলার নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। অনেকে মামলা করেছেন– আবেদনকারীরা যাতে নিয়োগ পায় তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৭ সাল থেকে মামলা চলছে। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ১৭৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে।
পরবর্তীতে ওই প্রার্থীদের চাকরিও দেওয়া হয়। ২০১৮– ২০১৯– ২০২০ সালেও একই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বহু আবেদনকারী মামলা করে। ইতিমধ্যে ২৬ হাজার প্রার্থী আদালতে ইতিমধ্যে মামলা করেছেন। ওই প্রার্থীদের যাতে নিয়োগ দেওয়া হয়– তার জন্য প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদনও জানানো হয়েছে। সকলকে দেওয়া যাবে না বলে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়– সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়– এই সংক্রান্ত বহু মামলা পেন্ডিং রয়েছে– সেই মামলাগুলি সব শুনতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই মামলার শুনানি ছিল বুধবার। এদের মধ্যে অনেকেই প্রশ্নভুল মামলায় পাস করে গিয়েছেন– তাদের নিয়োগও করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-এর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। আদালতের মতে– যেহেতু মামলাটি বড়– তাই মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানির প্রয়োজন। আগামী ফেব্রয়ারি মাসের প্রথম দিকে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। এই মামলার বঞ্চিতরা সঠিক বিচারপাবেন বলে আশা আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের। তবে পর্ষদও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। আদালতের নির্দেশেই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পর্ষদ।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৬টি প্রশ্ন ভুলমামলায় ইতিমধ্যেই পোর্টাল খুলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অভিযোগ সেল খুলে সেখানে ত্রুটি নিষ্পত্তির জন্য অভিযোগ জমা নেওয়া হচ্ছে। এবার সেই অভিযোগ জমা নেওয়ার শেষ তারিখ ঘোষণা করেছে পর্ষদ। আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে ভুল প্রশ্ন মামলায় যার যা অভিযোগ– তা জানাতে হবে। মঙ্গলবারই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে।
গত মাসেই এই প্রশ্ন ভুলের মামলার শুনানিতে সংসদ জানিয়েছিল– প্রাথমিক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ নতুন করে শুনতে পোর্টাল তৈরি করবে তারা। সেখানে অভিযোগ জানানোর ১৫ দিনের মধ্যে তার সমাধান হবে। সেইমতোই পোর্টাল খুলে অভিযোগ নেওয়া শুরু করে তারা। এবার সেই অভিযোগ জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে– ৩১ ডিসেম্বর থেকে বোর্ড অনলাইন পোর্টালটি চালু করে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে গত ২৩ ডিসেম্বর ও ২৪ ডিসেম্বর যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেই মতোই অভিযোগ জমা নেওয়া হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ‘ডেডিকেটেড অনলাইন পোর্টাল’ চালু থাকবে।