বেঙ্গালুরু, ১২ সেপ্টেম্বরঃ গণেশ শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক
হিংসার রুপ নিল কর্নাটকের মান্ডিয়া জেলা। হিংসা ঠেকাতে বুধবার রাতে জেলার
নাগমঙ্গলা তালুকে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এলাকার সমস্ত স্কুল-কলেজে সাময়িক
ভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। মাণ্ডিয়ার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ডঃ কুমার
সংবাদমাধ্যমকে বলেন,
“বুধবার রাতে গণেশ শোভাযাত্রা যখন একটি ধর্মীয় স্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন দুষ্কৃতীরা শোভাযাত্রা
লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া শুরু করে।” ডঃ কুমারের কথায়, “ঘটনার পর আইজিপিসহ এসপি ও
আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ
নিয়েছি। ১৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে এলাকায়।”
এই ঘটনার পরই বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
বুধবার রাতে পাথর
নিক্ষেপের ঘটনার পর ছয়টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় শহর।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এক টেক্সটাইল ব্যবসায়ী, যার দেড় কোটি
টাকা মূল্যের জিনিসপত্র ছিল দোকানে। পুরো দোকানটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। পাশাপাশি হামলাও
চালানো হয় বলেও অভিযোগ। হামলায় ১৩টি দোকান ও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত
থাকার সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। কাউকে রেয়াত করা হবে না, আইন আইনের
পথেই চলবে বলে সাফ জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে মাণ্ডিয়ার এসপি মল্লিকার্জুন বালাডান্ডি জানিয়েছেন, “এ ঘটনায় জড়িত
সন্দেহে ৪৬ জনকে আটক করা হয়েছে। পেট্রোল বোমা ও তলোয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল কি
না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপাতত ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।” গভীর রাতে অশান্তির পর নাগামঙ্গলার পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।