পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘কাশ্মীর পে চর্চা জারি রাহেগা’ । কেন্দ্রীয় সংস্থা লেলিয়ে
দিয়েও লাভ হবে না। যতদিন বেঁচে থাকব কাশ্মীর ইস্যু সর্বসমক্ষে তুলে ধরব। ভয় দেখিয়ে
দমানো যাবে না। মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হুঙ্কার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং
পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি মেহবুবা মুফতির। তিনি
বলেন, সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ‘কাশ্মীর ইস্যুতে’ আমি সরব হব। মৌন
থাকব না। বলা
বাহুল্য, দীর্ঘ ১০ বছর পর সে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের
ঘণ্টা বাজার পর থেকে উপত্যকায় রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে । কোমর
বেঁধে মাঠে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। তিন দফায় ভোট হবে সে রাজ্যে। ১৮সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে। এদিন
সেখানেই নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কাশ্মীর ইস্যু
জনসমক্ষে তুলে ধরেন তিনি। শুধু তাই নয়, যদি পুনরায় তাদের দল সেখানে জয়ী হয় তাহলে পুলওয়ামাকে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং এইমস হাসপাতাল উপহার দেওয়ার
প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
আমরা সেই সকল যুবকের কণ্ঠস্বর হতে চাই যারা আজ কবরস্থ। যারা অন্যায়ের
বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিতে গিয়ে নিজেদের জীবন খুইয়েছেন। যে সকল মায়েদের নিজেদের কোল খালি
হয়েছে। যারা বিধবা হয়েছে, যারা
এতিম হয়েছে সে সকল শিশুদের কণ্ঠস্বর হতে চাই আমি। তাই কাশ্মীর ইস্যু সমাধান না
হওয়া পর্যন্ত আমি আওয়াজ তুলবোই। কাশ্মীরে কোনও সমস্যা নেই বলেই বিশ্বের কাছে বার্তা
দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু আমরা জানি কাশ্মীরে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। কাশ্মীরের সমস্যা সমাধান না হলে আমাদের রাজ্যে এতিম বাচ্চা’রা শান্তিতে ঘুমাতে
পারবে না। শহিদরা কবরে শান্তি পাবে না।
এদিন জামায়াত-ই-ইসলামী সমর্থিত প্রার্থীদের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে
তিনি জানান, “আসল জামায়াত” কারাগারের আড়ালে। ওরা অন্যায়ভাবে
“জামাত-ই-ইসলামি স্কুলগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের সম্পত্তি
জব্দ করেছে। বাড়িতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। ইডি-এনআইএ সকলেই তাদের পিছনে লেগেছে। কেন্দ্র
তাদের জামাতের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে লেলিয়ে দিয়েছে। নয়াদিল্লি অনুগ্রহ
করলে তবেই জামায়াত নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ
করতে পারবে। দিল্লি সরকারের উচিত তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। রাজনৈতিক আবহাওয়া
পরিবর্তন করার জন্য এদিন দক্ষিণ কাশ্মীরের প্রশংশায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি। জানান, দক্ষিণ কাশ্মীরের জনগণ, বিশেষ করে পুলওয়ামা, শোপিয়ান, কুলগাম এবং ইসলামাবাদ, পিডিপিকে ১৬ জন সদস্য
দিয়েছেন। ২০০২ সালে আপনারাই পিডিপিকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন। এবারেও আশাহত করবেন
না, আশা করি। আপনারা কাশ্মীরের একাংশে দমন-পীড়ন শেষ করেছেন। POTA শেষ
করেছেন পাশাপাশি বিশেষ টাস্ক ফোর্স (জে-কে পুলিশের) ভেঙে দিয়েছেন। এবার কোন দল’কে
ভোট দেবেন সেটা আপনাদের উপর।