পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘ক্রাইটেরিয়া’ একটাই। ‘মুসলিম বিদ্বেষ’। মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ
দিলেই পদন্নোতি হবে। এই কথাটি চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। স্কুলে
আমিষ টিফিন নিয়ে যাওয়ার জন্যে নার্সারির পড়ুয়াকে বরখাস্ত করেছিলেন প্রিন্সিপাল। ধর্মে
মুসলিম ছিল ওই খুদে। জানা গেছে উক্ত ঘটনায় জড়িত স্কুল ম্যানেজার এবার বিজেপি’তে যোগ
দিলেন। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি উদয় গিরি
গোস্বামীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন অনুরাগ সাইনি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের
আমরোহায় হিলটন কনভেন্ট স্কুলে মুসলিম নার্সারির পড়ুয়া’কে বরখাস্ত করার ঘটনায় তিনিও মদদগার ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে
তদন্তের নির্দেশ জারি হয়েছিল। এই আবহে উদয়গিরির সঙ্গে একটি ফটো ভাইরাল হয় স্কুল
ম্যানেজারের। যেই ফটো’কে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল উত্তরপ্রদেশ রাজ্য-রাজনীতি। নেটাগরিকদের
একাংশের মতে, ঘৃণাভাষণের পরেই পদন্নোতি হল ম্যানেজারের। বিজেপিতে কাজ পাওয়ার ‘ফার্স্ট
ও ফরমোস্ট’ ক্রাইটেরিয়া ‘ইসলামোফবিয়া’ । যদিও
বিজেপির রাজ্য সভাপতি গোস্বামী সাফায় গেয়ে জানান, সাইনি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির
সঙ্গে জড়িত ছিল। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। আমাদের নতুন টার্গেট ৫ লক্ষ মেম্বার
আমাদের দলে আনা। সেটার অংশ হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করলেন। এই
প্রেক্ষিতে আমরোহার প্রাক্তন সাংসদ দানিশ আলি জানান, হিলটন কনভেন্ট স্কুলের
প্রিন্সিপাল ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ঠেকাতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন
তিনি। কারণ আমরোহার সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি যে তথ্য পাবে,
তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। আর তাতে ওদের ফেসে
যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই এই কাণ্ড। জানা গেছে, আমরোহা মুসলিম কমিটি গোটা ঘটনার
নিন্দা করেছে।