মিলেছে। মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। শান্তির লেশ টুকু নেই। জারি ছাত্র আন্দলন। এই
আবহে বৃহস্পতিবার জিরিবাম জেলার একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাত
পরিচয় কিছু দুর্বৃত্ত। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ২০০ মিটারের কম দূরত্বে ঘটনাটি ঘটেছে। জিরিবামের পুলিশ সুপার
জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ছুটে যায় নিরাপত্তা
বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। ড্রোনে
চলছে নজরদারি। উল্লেখ্য, মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ ঘিরে নতুন করে গণ্ডগোল
শুরু হয়েছে সে রাজ্যে। গত সপ্তাহে দুই পক্ষের লড়াইয়ে ১২ জন নিহত হন। রাজ্যের
বিভিন্ন স্থানে অবরোধ শুরু করেছে বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর মানুষজন। পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এতে আহত
হয়েছে অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানো রুখতে জারি বন্ধ করে
দেওয়া হয়েছিল নেট। সেই ঘটনার তিন দিন পর, পাঁচটি উপত্যকা জেলায় ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে
ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তবে মোবাইল নেট এখনও ব্লক রয়েছে বলেই
খবর। পাঁচটি উপত্যকা জেলা যেখানে নেট চালু হয়েছে সেগুলি হল ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবল, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং।
প্রসঙ্গত, সোমবার হাজার হাজার শিক্ষার্থী মণিপুর সচিবালয় এবং রাজভবনের সামনে
বিক্ষোভ দেখায়। সাম্প্রতিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর
ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তাঁরা। পাশাপাশি রাজ্যের আঞ্চলিক ও প্রশাসনিক
অখণ্ডতা রক্ষার আহ্বানও জানানো হয়েছে।