পটনা, ১৩ সেপ্টেম্বর: আরজি কর কাণ্ডে গোটা দেশ যখন তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে বিচারের দাবিতে উত্তাল, ঠিক তখন বিহারে চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই হাসপাতালের কর্মীকে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। অভিযুক্ত চিকিৎসকের আরও দুই সহযোগী। তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে ওই নির্যাতিতা চিকিৎসকের গোপনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করেন।
বুধবার রাতে বিহারের মুসরিঘররি অঞ্চলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে।
সমস্তিপুর (সদর) সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) সঞ্জয় কুমার পান্ডে বলেছেন, ওই চিকিৎসক ও তার তিন সহযোগী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুসরিঘররিতে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতা ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের গোপনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এর তিনি পুলিশের হেল্প লাইন নাম্বার ১১২-তে ফোন করে ঘটনা জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চিকিৎসক সহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চিকিৎসক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই কর্মকাণ্ড ঘটানোর আগে চিকিৎসক সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে হাসপাতালের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। পুলিশ ব্লেড সহ মদের বোতল উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা আইনের বিধানে একটি পৃথক মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে।